,

করোনার নকল টেষ্ট কিট অনলাইনে বিক্রির অপরাধে পোর্টসমাউথ ক্রাউন কোর্টে এক প্রতারকের দন্ড

মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন থেকে : অনুমোদনহীন বিপজ্জনক নকল করোনা টেষ্ট কিট ও অন্যান্য কয়েকটি জরুরী ঔষধ সামগ্রী অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে
বিক্রি করার অপরাধে ফ্র্যাঙ্ক লউডলো নামের এক ব্রিটিশ নাগরিককে জেলদন্ড দিয়েছে আদালত। জানা যায় প্রতারক ওই ফ্র্যাঙ্ক লউডলো নিজ ঘরে এসব নকল সামগ্রী তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি করে আসছিলেন, তার তৈরী করা প্রতিটি কিট তিনি বিক্রি করতেন এক পাউন্ড থেকে একশ পাউন্ড, আর এসব তৈরী করতে তার খরছ হতো এক পাউন্ডের চেয়েও কম। আমেরিকার এক ক্রেতার কাছে ওই নকল টেষ্ট কিট পাঠিয়ে ফেঁসে যান তিনি। গেল ১৮ মার্চ লসএঞ্জেলসে মার্কিন কাস্টমস এবং বর্ডার এজেন্সীর কাছে ধরা পড়ে বিষয়টি। সেখানে তাদের পরীক্ষা নিরিক্ষায় ওই কিট নকল প্রমাণিত হওয়াতে ব্রিটিশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করে মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন। এর পর ওই প্রতারককে ধরতে যৌথভাবে মাঠে নামে ব্রিটিশ পুলিশ এবং মার্কিন গোয়েন্দা। গেল ২০ মার্চ ইংল্যান্ডের চেষ্টারের একটি পোস্ট অফিসে আমেরিকা, ফ্রান্স এবং ইউকের কিছু এলাকায় নকল কিট পোস্ট করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার ঘরে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩শ পিস নকল টেস্ট কিট এবং প্রায় ২০ লিটার কেমিক্যাল উদ্ধার করে ব্রিটিশ পুলিশ ও মার্কিন গোয়েন্দা । ফ্র্যাঙ্ক লউডলো আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে । বিনা অনুমতিতে বিপজ্জনক কেমিক্যাল মিশিয়ে টেস্ট কিট বানিয়ে বিক্রির অভিযোগে পোর্টসমাউথ ক্রাউন কোর্টে তাকে দোষি সাব্যস্ত করে। গত, ৯জুলাই, (বৃহস্পতিবার) তাকে ১০ মাসের সাসপেন্ডেড সেনটেন্স প্রদান করা হয় এবং ১শ ৭০ ঘন্টা আনপেইড কাজ করার জন্যে রায় দেয় আদালত। জানা গেছে ওই প্রতারককে একশত সত্তর ঘন্টা স্থানীয় কাউন্সিলের অধীন জঙ্গল
পরিস্কারের কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য ৫৯ বছর বয়সী ফ্র্যাঙ্কের নকল কিটে

হাইড্রোজেন প্যারোক্সাইড কনসার্নট্রেশন এবং পটাশিয়াম থায়োসাইনেটের মিশ্রন
পাওয়া গেছো। এই দুটি কেমিক্যালই মুখের জন্যে খুবই বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন
বিশেষজ্ঞরা।


     এই বিভাগের আরো খবর