,

নবীগঞ্জে মামলা করে বিপাকে বাদী ও পরিবারের লোকজন, স্বাক্ষীদের বিভিন্ন ধরণের হুমকী-দামকীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদী ও তার পরিবার। এছাড়া স্বাক্ষীদের বিভিন্ন ধরণের হুমকী-দামকীর অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের মৃত মোঃ আলা উদ্দিনের পুত্র বুরহান উদ্দিনের উপর গত ৪রা আগষ্ট ২০২০ইং মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের মৃত মদরিছ মিয়ার পুত্র আবুল কাশেম মাসুকের নেতৃত্বে তার লোকজন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। বুরহান উদ্দিনের শুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে হামলাকারীদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আনা হয়। বাড়িতে আসার পর গত ১২ আগষ্ট মোঃ বুরহান উদ্দিন বাদি হয়ে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দায়েরের পর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবীগঞ্জ থানাকে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে মামলা রুজু করার নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৭ আগষ্ট ২০২০ইং নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা রুজু করেন এ খবর শুনে আবুল কাশেম ও তার লোকজন মামলার বাদী বুরহান উদ্দিন ও তার ভাই মোঃ মুজিবুর রহমান ও মামলার অন্যান্য স্বাক্ষীদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছে বলে এ প্রতিনিধিকে জানান ওই মামলার বাদী বুরহান উদ্দিন ও তার পরিবার। মামলা তুলে না নিলে মামলার বাদীকে প্রাণে হত্যা ও মামলার স্বাক্ষীরা যদি তাদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেয় তাহলে তাদেরও প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে বিভিন্ন ধরণের হুমকী দামকী দিয়ে আসছে আবুল কাশেম ও তার লোকজন। জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে মামলার বাদী বুরহান উদ্দিন ও তার ভাই মোঃ মুজিবুর রহমানসহ মামলার স্বাক্ষীগণ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং আবুল কাশেম ও তার লোকজনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর