,

শায়েস্তাগঞ্জে স্টেশন মাষ্টারের বিরুদ্ধে টিকিট বাণিজ্যসহ অনিয়মের অভিযোগ

জুয়েল চৌধুরী : শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাষ্টার সাইফুল ইসলামের নামে টিকিট বাণিজ্যসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও জংশনের পরিত্যক্ত ভবনে অনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়টিও প্রায় ‘ওপেন সিক্রেট’। এ অবস্থায় এলাকার যুবসমাজ বিপথগামী হওয়াসহ প্রতিনিয়ত চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। তিনি ৩ বছর ধরে ওই স্টেশনে কর্মরত থাকায় অনেক অপরাধীদের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, শায়েস্তাগঞ্জ জংশন থেকে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনে প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন হাজারো যাত্রী। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নানানভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। এর মধ্যে আবার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো টিকিট বাণিজ্য দৌরাত্মে উঠছে নাভিশ্বাস। তাছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই স্টেশন মাস্টারকে খুঁজে পাওয়া যায় না। স্টেশনটিতে রয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। প্রায়ই বন্ধ থাকে ওয়েটিং রুম। পর্যাপ্ত ‘ওয়েটিং সিট’ না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শত শত যাত্রীকে। স্টেশনটিতে সরকারি শৌচাগার থাকলেও তালাবদ্ধ থাকে সব সময়। এ অবস্থায় পাবলিক টয়লেটে লেগে থাকে উপচেপড়া ভিড়। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই ওয়েটিং রোম তালাবদ্ধ করে রাখেন যাতে সাধারণ যাত্রীরা পাবলিক টয়লেটে যায় এবং সেখান থেকে তিনি মাসোয়ারা নিচ্ছেন। তাছাড়া জংশনের স্থানে স্থানে স্তূপ করে রাখা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ ও প্লাটফর্মের ভাঙা শেড দিয়ে পড়া বৃষ্টির পানিতে যাত্রীদের দূর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ছাড়া স্টেশন মাষ্টারের কিছু সিন্ডিকেট এর লোকজনের কাছ থেকে কালোবাজারে টিকেট কিনতে হলে প্রতিটি টিকেটে নির্ধারিত মুল্য ছাড়া ২শ থেকে ৩ শ টাকা বেশি দিতে হয়। স্থানীয়রা জানান, জংশনটির পরিত্যক্ত জমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এসব পরিত্যক্ত ভবনে চলে অনৈতিক কার্যকলাপ। বিষয়টি জানলেও প্রতিরোধে কেন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না রেল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। তাছাড়া হাই কমেডের টয়লেটে পানি না থাকায় তালাবদ্ধ রাখা হয়। ভিআইডি কেউ এলে টিকেট এর ব্যবস্থা করে দেই।


     এই বিভাগের আরো খবর