,

বানিয়াচংয়ে ভাশুরের নির্দেশে গৃহবধূকে স্ত্রী-পুত্রের শ্লীলতাহানী

আনোয়ার হোসেন ॥ বানিয়াচংয়ে ভাশুরের নির্দেশে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানী করেছেন ভাশুরের স্ত্রী ও পুত্র। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গৃহবধূর শ্লীলতাহানী করা হয়েছে। এ সময় শ্লীলতাহানীর প্রতিবাদ করায় ওই গৃহবধূকে মারপিট ও তার বোনের ছেলেকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ভাশুর ফরিদের স্ত্রীও পুত্র। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ফরিদের স্ত্রী রুনা আক্তারকে আটক করে বানিয়াচং থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার সময় উপজেলার ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে। এ ব্যাপারে আহত ও শ্লীলতাহানী হওয়া সাজন বেগম বানিয়াচং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নন্দীপাড়া মহল্লার ফরিদ মিয়ার ছোট ভাই চান মিয়া দুবাই প্রবাসী। ফরিদ মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ছোট ভাই চান মিয়া প্রবাসে থাকার সুবাদে তার বসত বাড়ীর অংশ ও ঘর দখলের পায়তারা করে আসছে। ফরিদ ও তার স্ত্রী সন্তানের মারপিটের ভয়ে সাজন বেগম বাবার বাড়ি ৩নং ইউপি‘র তাতীরি মহল্লায় বসবাস করছেন। ঘটনার সময় ওই গৃহবধূ বসত বাড়ী দেখভাল করার জন্য এসেছিলেন। এ সময় গৃহবধূ সাজন আক্তারকে বাড়ীতে দেখামাত্রই ভাশুর ফরিদের ছেলে সুজন ও ফরিদের স্ত্রী রুনা আক্তার উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে ফরিদের নির্দেশ পেয়ে তার পুত্র সুজন আপন চাচী সাজন আক্তারকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানী করে। এ সময় ফরিদের স্ত্রীও তার পুত্রকে সহযোগীতা করতে সাজন আক্তারকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। সাজন আক্তারের সাথে আসা বোনের ছেলে মোহন ঘটনার প্রতিবাদ করলে ফরিদের স্ত্রী মোহনকে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ফরিদের স্ত্রীকে আটক করলেও ফরিদের পুত্র সুজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাজন আক্তার বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে বানিয়াচং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ওসি জানান মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর