,

সংবিধানের সুফল বঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: স্পীকার

সময় ডেস্ক ॥ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে সংবিধানের সুফল বঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তবেই এই সংবিধান সবার কাছে অর্থবহ হবে। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ৪৯তম দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং বাহাত্তরের সংবিধান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। স্পীকার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গভীর অনুভূতির ফসল। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি জাতিকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বসেরা অনন্য সংবিধান। এই সংবিধানের সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে সংবিধানে অনুসৃত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১২ অক্টোবর, ১৯৭২ গণপরিষদে এবং ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সংবিধান প্রণয়নের দিনে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ দুটোতে সমগ্র সংবিধান প্রণয়নের কাঠামো ও প্রেক্ষাপটের পরিপূর্ণ প্রতিফলন রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কাছে স্বাধীন বাংলার মাটিতে বসে বাঙালিকে সংবিধান উপহার দিতে পারার চেয়ে বেশি আনন্দের আর কিছু ছিল না। শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সংবিধানের চারটি মৌলিক স্তম্ভের আলোকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন শোষণহীন সমাজ নির্মাণ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধানের এই মূল ভিত্তিগুলোকে সামনে রেখেই একটি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তার দক্ষ নেতৃত্ব ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বৈশ্বিক করোনা মহামারির দুঃসময়েও অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। খন্দকার আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, এড. দীপক ঘোষ, এড. মাসুদুর রহমান সিকদার, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রকাশ রায়, হাসনাত ফারুক শিমুল রবিন, এড. আসাদুজ্জামান বাবু, সমাজকর্মী সুচরিতা দেব প্রমুখ। এড. আজহারুল্লাহ ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।


     এই বিভাগের আরো খবর