,

সতীর্থরা অবিশ্বাস করতে পারেন, আশঙ্কা সাকিবের

সময় ডেস্ক ॥ সময়টা পেছনে ফেলে এসেছেন সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়। নিষেধাজ্ঞার সময়। এখন বিশ্বের সেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডারের সব ধরনের ক্রিকেট খেলতে কোন বাধা নেই। সাকিবও ক্রিকেটে ফিরতে মুখিয়ে আছেন। টি-২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দামী এই ক্রিকেটার তাই ফর্মে ফিরতে খেলবেন ঘরোয়া টি-২০ লিগ। নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী ক্রিকেট নিয়ে ইউটিউবে এক ভিডিও বার্তায় নানান কথা বলেছেন তিন ফরম্যাটে সেরা অলরাউন্ডারের তকমা পাওয়া সাকিব। তার মতে, জাতীয় দলের অনেক সর্তীথের সঙ্গেই তার কথা বার্তা হচ্ছে। কিন্তু ‘জুয়াড়ির সঙ্গে কথা হওয়ায় ঘটনা লুকানোয় ’ ড্রেসিংরুমের কেউ তাকে অবিশ্বাস করবেন কিনা জানেন না।
সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘এটা (কেউ আমাকে অবিশ্বাস করবে কিনা) কঠিন প্রশ্ন। কারণ কার মনে কী চলতে আমি বলতে পারবো না। তারা আমার প্রতি অনাস্থা দেখাতে পারে। অবিশ্বাস করতে পারে। এটা আমি একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছি না।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেকগুলো রেকর্ডের মালিক সাকিব জানিয়েছেন, করোনা এবং নিষেধাজ্ঞা তার জন্য অনেকদিক থেকেই ইতিবাচক হয়েছে। আগের থেকে ভিন্নভাবে, নতুন করে জীবন বুঝতে শিখেছেন তিনি। তার কাছে নিষেধাজ্ঞার এই এক বছরের চেয়ে আইসিসির দুর্নীতি দমক বিভাগের (আকসু) অনুসন্ধানে সহায়তা করা বেশি কঠিন ছিল। বিশ্বকাপের মধ্যে ভালো খেলাটা আরও কঠিন করে ফেলেছিল তার জন্য।
করোনা ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দ্বিতীয় কন্যার বাবা হওয়া সাকিব বলেছেন, ‘আমি মনে করি নিষেধাজ্ঞা আমাকে নানান দিক থেকেই সহায়তা করেছে। আমার সামনে অনেক দুয়ার খুলে গেছে। সেগুলো নিয়ে আমি ভিন্নভাবে ভাবতে পেরেছি। এই একবছর নিয়ে আমার বিশেষ আক্ষেপ নেই। এভাবে ধাক্কা না খেলে জীবনের অনেক কিছুই আমার শেখা হতো না। নিষেধাজ্ঞার খবরে হতাশ হয়েছিলাম। এখন আমাকে আগের পর্যায়ে ফিরতে হবে। এই একটা বছর আমাকে এই শিক্ষাই দিয়েছে।’
আইসিসি তাকে তিরস্কার করতে পারে কিংবা নিষেধাজ্ঞাও পেতে পারেন বিষয়টি আগেই আঁচ করেছিলেন সাকিব। এমনকি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগেই আসতে পারতো ঘোষণা। সেটা না আসলেও বিশ্বকাপের মধ্যে দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিববে আইসিসির তদন্তে সহায়তা করতে হয়েছে। বিষয়টি ছিল তার জন্য কঠিন। তারপরও তিনি বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। নিজের ইচ্ছার বলে এবং ইতিবাচক ভাবনা থেকে।
এ নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স দেখানো সত্যিই কঠিন ছিল। কারণ প্রতিদিন আকসুর নানান প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো। এই সমস্ত বিষয় মাথায় নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া ভালো ব্যাপার নয়। মাঝে মধ্যে মনকে বলতাম কিছুই হয়নি। তারপরও ওটা মাথায় নিয়ে ভালো খেলা কঠিন ছিল। ভালো ব্যাপার হলো, ওই তদন্ত আমার খেলায় প্রভাব ফেলেনি। এছাড়া বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারায় দুর্নাম ছিল আমার। ওটা ঘুচানোরও প্রবল ইচ্ছা ছিল। এখন যেমন চাই আবার আগের পর্যায়ে ফিরতে।’ সাকিব মনে করেন শ্রীলংকা সফর মাথায় নিয়ে বিকেএসপিতে তিনি যে অনুশীলন শুরু করেছিলেন, সেটা শেষ করতে পারলে দ্রুতই আগের পর্যায়ে ফিরতে পারতেন। কিন্তু লংকা সফর স্থগিত হওয়ায় সেটা পরিকল্পনা মতো এগোয়নি মাগুরার ছেড়ে সাকিবের।


     এই বিভাগের আরো খবর