,

বানিয়াচংয়ে ঝিঙা চাষে মালেকের মুখে তৃপ্তির হাসি

সংবাদদাতা ॥ ক্ষেতজুড়ে বিস্তীর্ণ মাচা। মাচার ওপর লম্বা লতায় ছড়িয়ে আছে ঘন সবুজ পাতা। পাতার ফাঁকে ফাঁকে পাপড়ি মেলে হাসছে হলুদ রঙের ঝিঙা ফুল। মাচা ভরা শুধু ফুল আর ফুল। নিচে ঝুলছে লম্বা লম্বা ঝিঙা। মনোমুগ্ধকর ঝিঙা ফুলের ওপরে উড়ছে কয়েক প্রজাতির প্রজাপতি। কখনও কখনও মৃদুভাবে ফুল স্পর্শ করছে তারা। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখে যে কারও প্রাণ জুড়িয়ে যাবে অনায়াসেই। দৃশ্যটি বানিয়াচং উপজেলার ৪ নং দক্ষিণপশ্চিম ইউনিয়নের শরীফখানি মহল্লার আব্দুল মালেকের সবজি বাগানের। অসময়ে ঝিঙা চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। ঝিঙা মূলত গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও শীতের শুরুতে এই সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন আব্দুল মালেক। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তার বাগানে সরেজমিনে দেখা যায়, বাগানে প্রচুর ঝিঙা ঝুলে আছে। আব্দুল মালেক জানান, তিনি গত বছর গ্রীষ্মেকালে ঝিঙা চাষ করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই বছরই শীতকালের শুরুরে সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে ঝিঙা চাষ করেন তিনি। তাতে সফল হন। এবছর অক্টোবর মাসের শুরুতে ৩০ শতাংশ জায়গায় হাইব্রীড হিরো জাতের ঝিঙার বীজ বপন করেন তিনি। এক মাসের মধ্যেই ব্যাপক ফলন আসে ঝিঙা চাষে। এক প্রশ্নের জবাবে সন্তোষজনক হাসি দিয়ে মালেক জানান, ৩০ শতাংশ জায়গায় ঝিঙা চাষে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এ থেকে তার আয় হবে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। ৩৫ বছর বয়সী এই সবজি চাষী শুধু ঝিঙা না, পাশাপাশি অন্যান্য সবজি চাষ করেও সফল হয়েছেন তিনি। বিশাল সবজি বাগান ঘুরে দেখা যায় সেখানে চিচিঙ্গা, করলা, লাউ, টমেটোসহ আরও অনেক প্রকার আগাম সবজি চাষ করেছেন আব্দুল মালেক। কৃষি অধিদপ্তর বা সরকারি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে এসব বাহারি সবজির আবাদ করে সফল হয়েছেন তিনি। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, মালেক তার জমিতে উৎপাদিত আগাম সবজি স্থানীয় বাসিন্দাসহ উপজেলার কয়েকটি বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। স্থানীয় বড়বাজার, গ্যানিংগঞ্জ বাজার, আদর্শবাজার এবং ৫/৬ নং বাজারে তার উৎপাদিত ঝিঙাসহ অন্যান্য সবজি পাইকারি বিক্রি করে থাকেন তিনি। বড়বাজারের সবজি বিক্রেতা জুয়েল মিয়া জানান, মালেক ভাই’র জমিতে উৎপাদিত ঝিঙা এবং চিচিঙ্গার নিয়মিত বিক্রেতা আমি। গ্রীষ্মের সবজি শীতকালের শুরুতে পেয়ে ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার এসব সবজি।


     এই বিভাগের আরো খবর