,

চুনারুঘাটে শিক্ষক হিরোমুল চাকুরি করেন দুই প্রতিষ্ঠানে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা উচ্চ বিদ্যায়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ হিরোমুল ইসলাম সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করে বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে একটি মার্কেটিং কোম্পানিতে চাকুরী করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগ। যেমন তিনি (ওই শিক্ষক) যথাসময়ে ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না এবং বেত দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারপিট করেন। সুত্রে জানা যায় যশোর জেলার সদর উপজেলাধীন চাঁচড়া এলাকার বাসিন্দা হিরোমুল ইসলাম ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সহকারি শিক্ষক (কৃষি) হিসেবে শানখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের যোগদান করেন। একই বছরের এপ্রিল মাসে এমপিওভুক্ত হয়ে সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করে আসছেন। এদিকে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রদান এবং জনবলকাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকায় বলা আছে বেতন ভাতাদির সরকারি অংশপ্রাপ্তির জন্য শিক্ষক/কর্মচারী একই সাথে একাধিক পদে চাকুরীতে বা আর্থিক লাভজনক কোন পদে নিয়োজিত থাকিতে পারিবেন না। এক্ষেত্রে দেখা যায়, শিক্ষক হিরোমুল ইসলাম আইনকানুন না মেনে বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষের কাছে গোপন রেখে দেশের একটি শীর্ষ মার্কেটিং কোম্পানীতে ৮-১০ বছর যাবত চাকুরী করে যাচ্ছেন। কোম্পানীর নাম নোয়াপাড়া গ্রুপ। এই কোম্পানীর বেঙ্গল মিশ্র সার বাজারজাত করণের জন্য হবিগঞ্জ জেলায় আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপক (আরএসএম) পদে কর্মরত রয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শামছুল ইসলাম বলেন, আমার বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিরোমুল ইসলাম অন্যকোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন কিনা আমার জানা নেই, তবে তিনি বিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়ে আসা যাওয়া করেন না। বিলম্বে আসেন, আবার ছুটির আগেই চলে যান। তাই তাকে মৌখিকভাবে সর্তক করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জনান শিক্ষক হিরোমুল ইসলামকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ক্লাসে পাওয়া যায় না। বিলম্ব করে ক্লাসে আসলেও পাঠদানে অমনোযোগী দেখা যায়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদেরকে বেত দিয়ে মারপিট করেন তিনি। নোয়াপাড়া গ্রুপের সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার মিজানুর রহমান জনি বলেন, হিরোমুল ইসলাম একটি হাইস্কুলে চাকুরী করেন জানি, পাশাপাশি আমাদের কোম্পানীতেও ৮-১০ বছর যাবত অবস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরী করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর