,

নবীগঞ্জের নাদামপুর গ্রামে হামলার শিকার এক নিরিহ পরিবার

সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের এক নিরিহ পরিবার বারবার হামলার শিকার হয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন ও হুমকী-ধামকীর মধ্য দিয়ে বসবাস করে আসছেন। জানা যায়, নাদামপুর গ্রামের মৃত রফাত উল্লার পুত্র মোঃ ছনর মিয়া ও একই গ্রামের মোঃ সুন্দর আলীর পুত্র সিনজি চালক সোহেল মিয়া গংদের সাথে ২০১৯ সাল থেকে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৩/১১/২০১৯ ইং সকালে সোহেল মিয়া ও ছনর মিয়া মধ্যে জায়াগার সিমানা নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে সোহেল মিয়া ও তাঁর আত্মীয়স্বজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ছনর মিয়ার উপর হামলায় চালায়, ছনর মিয়াকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী হুছনা বেগম ও মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার এগিয়ে আসলে হামলা কারীরা তাদেরকে মারপিঠ করে এবং শ্লীলতাহানী করে। এতে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ে রক্তাত্ব জখম হয়। আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে। নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করেন। উক্ত হামলার ঘটনায় ছনর মিয়ার মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার বাদী হয়ে হবিগঞ্জ আদালতে একই গ্রামের মৃত ইউনুছ উল্লার পুত্র আব্দুল হাই, মৃত মোঃ ছাতির উল্লার পুত্র সিজলু মিয়া, সুন্দর উল্লার পুত্র সোহেল মিয়া, ওয়াতির উল্লার পুত্র ইলাছ উদ্দীন, মৃত জাবিদ উল্লার পুত্র আনফর উল্লাহসহ ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর থেকেই আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সময়ে সড়কে চলাচলের সময় নিরিহ ছনর মিয়ার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করার চেষ্টা করে। বসতবিটা থেকে চিরতরে উচ্ছেদ করতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে আসামীরা। রাতের আধারে তাদের ঘরের টিনের চালায় ইট দিয়ে নিয়মিত কে বা কারা ঢিল মারে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ইয়াছমিন আক্তার। টিনের চালা ছিদ্র হয়ে তাদের উপরে পড়ে গিয়ে প্রাণহানীর সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে। ইয়াছমিন আক্তার আরো জানিয়েছেন, আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদেরকে নিয়মিত হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। গত শনিবার সকালে দিনমুজুর ছনর মিয়া কাজে যাওয়ার পথে সোহেল মিয়া গংরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাকে আটক করে হামলা করার চেষ্টা চালায়। এ সময় ছনর মিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অল্পের জন্য হামলাকারীর কবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন দিনমুজুর ছনর মিয়া। মামলা প্রত্যাহার করার জন্য ছনর মিয়া ও তাঁর পরিবারের উপর নিয়মিত চাপ প্রয়োগ করে আসছে আসামীরা। এতে এ নিরিহ পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করে আসছে। নিরিহ পরিবারটি প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর