,

শীতে কতটুকু পানি পান করব?

সময় ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে শীত এসে গেল। কিন্তু গরমের দাপট কমতে না কমতেই আমাদের জল তেষ্টা কমে গেছে। আর এর ফলেই অনেকেই ১২–১৪ গ্লাসের বদলে ৫৬ গ্লাস পানি পান করে দিন কাটাচ্ছেন। যার ফলে দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক সমস্যা। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে শরীরের ন্যূনতম পানির চাহিদার কমে যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এটাও ঠিক, গরম কালের মতো শীতকালে বাড়তি পানির চাহিদা কিছুটা স্বাভাবিক নিয়মেই কমে যায়। বেশি বয়সে অনেককেই প্রেশার, সুগার, কোলেস্টেরল সহ নানান ধরনের ওষুধ খেতে হয়। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান না করলে শরীরে নানান ক্ষতিকর পদার্থ জমা হতে শুরু করে। আবার উচ্চরক্তচাপ, কিডনির অসুখ, লিভারের অসুখ, হার্ট ফেলিওর ইত্যাদি কারণে অনেকের হাত, পা বা পেটে তরল জমে গিয়ে ফুলে যায় বা অল্প পরিশ্রমে শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। তাদের শরীরের বাড়তি জলীয় অংশ বের করে দেওয়ার জন্য ল্যাসিক্স জাতীয় ওষুধ খেতে হতে পারে। যারা এই ওষুধ খান, তাদের শরীরে পানির চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকে। শীতের সময় ঠান্ডার ভয়ে পানি পান করা কমালে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা পানি খেতে অসুবিধা হলে শীতের সকালে চায়ের আগে গরম পানি খেয়ে দিন শুরু করুন। পানিকে অনেকে ওষুধের সঙ্গেও তুলনা করেন, কেন না শরীরে জমে থাকা নানান টক্সিক প্রস্্রাব ও ঘামের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। তাই শীতের দিনেও ন্যূনতম ১.২১.৫ লিটার পানি পান করা দরকার। যদিও শীতকালে এয়ারকন্ডিশনে থাকার ঘটনা কম, তবু যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকার অভ্যাস, তাদের শরীরে পানির চাহিদা বেশি। তাদের অবশ্যই দৈনিক ১.৫ লিটার জল পান করা উচিত। প্রতিদিনের শরীরে প্রয়োজনীয় পানির কুড়ি শতাংশ পূরণ হয় খাবারের জলীয় অংশ থেকে আর বাকিটা চা, কফি, দুধ, বোতলজাত ঠান্ডা পানীয়, ফল বা ফলের রস বা হার্ড ড্রিংকসের মতো জলীয় খাবার থেকে আসে। এছাড়া তরমুজ বা পালং শাকের মতো খাবারে নব্বই শতাংশের বেশি পানি থাকে, এরা পুষ্টির সঙ্গে শরীরের পানির চাহিদাও মেটায়।


     এই বিভাগের আরো খবর