,

নবীগঞ্জে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দূর্নীতিসহ নানান অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোঃ ফজলু মিয়া নামের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারি জায়গার মাটি বিক্রি, পুকুর খনন, সরকারি বরাদ্ধ আত্মসাৎ এবং করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রনোদনা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগের কথা উল্লেখ করে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কাকুড়া, করিমপুর, চানপুর ও ফিরোজপুর গ্রামের লোকজন গণসাক্ষর দিয়ে গত সোমবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফজলু মিয়া বিভিন্ন দূর্নীতির মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় ৯ বছরের মেম্বারী জীবনে জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন। মেম্বার ফজলু মিয়া ইউপি সদস্য নির্বাহিত হওয়ার আগে তার বাবার ৪ শতক জায়গার উপর একটি বসতঘর ছাড়া কোনো স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল না কিন্তু তিনি মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় ৮/৯ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে অনন্ত ৫ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। গত ২০১৭-১৮ সালে এলজিএসপি ৩ প্রকল্পের আওতায় চানপুর-করিমপুর সংযোগস্থল করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নরখাই নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য সরকারের প্রায় ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধের টেন্টার হয়। কিন্তু নির্ধারিত স্থানে ব্রীজ নির্মাণ না করে ক্ষমতার দাফট দেখিয়ে মেম্বার ফজলু তার বাড়ির সামনে তার পরিবারের লোকজনের সুবিধার্থে একটি ছোট কালভার্ট নির্মাণ করে। যার খরচ গিয়ে দাড়ায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকায়। বাকি টাকা চলে যায় মেম্বার ফজলুর পকেটে। তার এই এহেন কর্মকাণ্ডে দুই গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ও স্কুলগ্রামী শিক্ষার্থীরা ব্রিজের সুবিধাভোগ থেকে বঞ্চিত হয়। গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কাবিকা প্রকল্পে মেম্বার ফজলু মিয়া অবৈধভাবে ৯০ ওয়াটের একটি বৈদ্যুতিক সোলার প্যানেল তার ছেলে শ্যাভরনে চাকুরীরত জুনেদ মিয়াকে দেন। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে হতদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতাভূক্ত ফিরোজপুর গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি থেকে নাসির মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ প্রকল্পের ২ লক্ষ টাকা কোন কাজ না করেই আত্মসাৎ করেন মেম্বার ফজলু মিয়া। অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করা হয়, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাস্তার মাটি ভরাট প্রকল্পের ২ লক্ষ টাকা, ঈদগায়ের মাটি ভরাট প্রকল্প ও হতদরিদ্রদের সোলার স্থাপন প্রকল্পের ২ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা মেম্বার ফজলু আত্মসাৎ করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে কর্মরত দেশ-বিদেশের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জিম্মি করে ও দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারি জায়গা দখল করে মাটি বিক্রি, সরকারি জায়গায় পুকুর নির্মাণ করে ফিশারীর ব্যবসা, সরকারি বরাদ্ধ নিজের পরিবার পরিজনের নাম দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, সরকারি বরাদ্ধের জন্য সাধারণ গরীব মানুষের নাম, ভোটার আই.ডি কার্ড সংগ্রহ করে কোন টাকা না দিয়ে তার নিজের ব্যবহৃত চুরাই মোটর সাইকেল (সিলেট ল-১২-০৭৯৩) ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবত সরকারি জায়গা দখল করে প্লট আকারে বিক্রি করে মেম্বার ফজলু মিয়া কোটিপতি হয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর