,

মওদুদ আহমদের অন্যরকম ফেরা

সময় ডেস্ক ॥ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানিকপুরে বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত হবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রখ্যাত এই আইনজীবীর
মরদেহ দেশে নিয়ে আসা হয়। তার মরদেহ গ্রহণ করেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির সিনিয়র নেতারা। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ নিয়ে রাখা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে। আজ সকাল ১০টায় ঢাকায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে এবং বেলা ১১টায় নয়া পল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুই দফা জানাজা হবে। নয়া পল্টনের জানাজা শেষে এম্বুলেন্সে করে মওদুদ আহমদের কফিন নিয়ে যাওয়া হবে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে, তার গ্রামের বাড়িতে। সেখানে বাদ আসর কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জানাজার পর নিজের বাড়ির আঙিনায় আরেক দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মওদুদ আহমদকে দাফন করা হবে।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ১৯৪০ সালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করে তিনি যুক্তরাজ্যে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রি নেন। পরে দেশে ফিরে যুক্ত হন আইন পেশায়। কবি জসীম উদ্?দীনের জামাতা ব্যারিস্টার মওদুদ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে অন্যতম আইনজীবী হিসেবে ভূমিকা রাখেন। জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেন তিনি। ৬ বারের সংসদ সদস্য মওদুদ, আইন ও সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন। স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধীনতা, বাংলাদেশ: শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ-প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের রাজনীতি ও সামরিক শাসন, এ স্টাডি অব দ্য ডেমোক্রেটিক রেজিমস, কারাগারে কেমন ছিলাম, বাংলাদেশ: ইমার্জেন্সি অ্যান্ড আফটারম্যাথ ২০০৭-২০০৮ তার উল্লেখযোগ্য বই।


     এই বিভাগের আরো খবর