,

বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স! জনবল সংকটে বিঘিœত হচ্ছে সেবা

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৩০ জন। উপজেলাবাসীর চিকিৎসা সেবা পাওয়ার একমাত্র ভরসারস্থল বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটের কারণে এখানে রোগীরা ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে না। জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ মে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয় করা। কিন্তু ৫০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এটি এখন চলছে ৩১ শয্যার জনবলে। যেখানে ৩১ শয্যার জনবলেই ঘাটতি রয়েছে। এরমধ্যে দশ বছর ধরে এক্স-রে ও ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই। এতে অযতœ ও অবহেলায় পড়ে আছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ। গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ শূন্য থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারছে না। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের সেবা না পেয়ে যেতে হচ্ছে ১৮ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরে। অন্যদিকে গুরুতর কোনো সমস্যা হলে যেতে হয় ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের সিলেট। অযতœ ও অবহেলায় পড়ে আছে এক্স-রে মেশিন:- স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার জনবল অনুযায়ী ১০ জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও ৬জন কনসালটেন্টসহ ১৭জন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু সেখানে রয়েছে মাত্র ১০জন চিকিৎসক। শূন্য আছে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ (গাইনি চিকিৎসক) পদ। জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন পদে একজন চিকিৎসক পদায়ন আছেন। তবে তিনি বর্তমানে প্রেষণে সিলেটের শহীদ সামসুদ্দিন হাসপাতালে কর্মরত আছেন। জুনিয়র কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিয়ার পদটি শূন্য রয়েছে। মেডিকেল অফিসার ২ পদের মধ্যে ১টি পদ শূন্য। সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৪ পদের মধ্যে ৬টি পদ শূন্য। মিডওয়াইফ পদে আছেন ৪ জন। উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ২টি পদের মধ্যে ১টি পদ শূন্য। ফার্মাসিস্ট ২টি পদের দুটিই শূন্য। ল্যাব টেকনিশিয়ান ২টি পদের দুইটিই শূন্য। রেডিওগ্রাফারের একটি পদ আছে। সেটি শূন্য আছে প্রায় ১০ বছর ধরে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ৩টি পদের মধ্যে ১টি পদ শূন্য। এরমধ্যে ১ জন সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত। সহকারী সেবকের ১টি পদ শূন্য। স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ৪টি পদের মধ্যে ৩টি পদই শূন্য। সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ১১টি পদের মধ্যে ৩টি পদ শূন্য। এদেরমধ্যে একজন প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত আছেন। স্বাস্থ্য সহকারী ৫৫টি পদের মধ্যে শূন্য ১৯টি পদ। এমএলএসএস ৩ জনের মধ্যে আছে ২ জন। এরমধ্যে একজন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে কর্মরত। আয়ার ১টি পদ আছে সেটিও শূন্য। কুকার ২টি পদের মধ্যে ১টি শূন্য। ঝাড়–দার ৫টি পদের মধ্যে ৪টি শূন্য। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের ৩২ পদের মধ্যে ৩টি পদ শূন্য। অপরদিকে উপজেলার সুজাতপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফার্মাসিস্টের পদটি খালি রয়েছে। এই কেন্দ্রে উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকলে অফিসারের ১টি পদ খালি রয়েছে। বানিয়াচং উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফার্মাসিস্টের পদ খালি রয়েছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সহকারী সার্জনের ৯টি পদের মধ্যে খালি রয়েছে ২টি পদ। উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের ৯টি পদের মধ্যে খালি রয়েছে ৮টি পদ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামিমা আক্তার সিলেটটুডেকে জানান, জনবল বাড়ানোর জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত জনবল থাকলে সেবা দিতে কোনো রকমের অসুবিধা হবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর