,

নবীগঞ্জে শাখোয়া-করগাও গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের বিরোধের চুড়ান্ত নিষ্পত্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে ডোবায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে করগাঁও ও শাখোয়া গ্রামবাসীর মধ্যে মসজিদের মাইকে ঘােষণা দিয়ে সংর্ঘষের ঘটনা আপোষে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ২৮ আগস্ট শনিবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে বিষয়টি নিষ্পত্তিকল্পে সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১ আগস্ট সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের শাখোয়া গ্রামের লোকজন ও করগাঁও গ্রামের লােকজন মাইকে মাইকিং করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাখোয়া ও করগাঁও গ্রামে মধ্যবর্তী স্থানে আমন ক্ষেতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয় । খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ ঘটনার পর সরেজমিন পরিদর্শনে করে উক্ত বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে আপােষে নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন হবিগঞ্জ -১ ( নবীগঞ্জ – বাহুবল ) আসনের সংসদ সদস্য গাজী মােহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার ২৮ আগষ্ট বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে বিষয়টি নিষ্পত্তিকল্পে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সালিস বৈঠকে হবিগঞ্জ -১ (নবীগঞ্জ – বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য গাজী মােহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ এর সভাপতিত্বে ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন , হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভােকেট আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভােকেট গতি গােবিন্দ দাশ, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভােকেট সুলতান মাহমুদ, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ডালিম আহমেদ, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান সেফু, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মিলু, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মালিক, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, মিনি বাস মালিক সমিতির সভাপতি ইয়াওর মিয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাহিদ আহমেদ, সাধারন সম্পাদক নির্মেন্দু দাশ রানা, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন, বড় ভাকৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিক মিয়া, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও শাখোয়া ও করগাঁও গ্রামের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের লােকজন শান্তি প্রতিষ্ঠার ঘােষণা দিলে বিবাদমান দুই পক্ষের মতামতের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ শালিস বৈঠক শেষে বোর্ডের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে হাতে হাত মিলিয়ে বিষয়টি চুড়ান্ত নিস্পত্তি করা হয়। উভয় পক্ষের লোকজন ভেদাভেদ ভুলে কুলাকুলিও করেন। পরে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যতে এসব কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আহবান জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর