,

চুনারুঘাটে এক সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে ফাহিমা খাতুন (২০) নামের এক সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন আত্মগোপন করেছে। নিহতের মা নিরূপায় হয়ে আদালতে মামলা করলে আসামিদের বিরুদ্ধে এফআইর গণ্যে চুনারুঘাট থানার ওসিকে মামলা রুজুর নির্দেশ দেয়া হয়। বাদিপক্ষে মামলা দায়ের করেন এডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম। তিনি জানান, গত বছরের ২৭ মার্চ চুনারুঘাট উপজেলার জাজিউতা গ্রামের মৃত কবির মিয়ার পুত্র সিএনজি চালক সাইদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় ঝিকুয়া গ্রামের সফিক মিয়ার কন্যা ফাহিমা খাতুনের। তাদের কোলজুড়ে একটি ফাহিম নামের ৬ মাসের এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য ফাহিমা খাতুনের উপর অমানসিক নির্যাতন চালায়। ফাহিমার পিতা-মাতা দরিদ্র হওয়ায় শত নির্যাতন সহ্য করে সংসার করে ফাহিমা। গত ১২ জুলাই রাত ৮টার দিকে সাইদুল ইসলাম তার ভাই জুনায়েদ মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, তৌহিদ মিয়াসহ শশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য ফাহিমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে সাইদুল ইসলামের বাড়িতে ছুটে যান নিহতের মা। খোঁজাখুজি করে তার মেয়েকে না পেয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে লোকজন নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাশঁঝাড়ে দেখতে পান ফাহিমার লাশ। থানায় খবর দিলে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ওই দিন রাত ৩টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ১৩ জুলাই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরবর্তীতে ফাতেমা খাতুন তিনি গত ৬ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদের আদালতে মামলা করলে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য চুনারুঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। গতকাল বুধবার চুনারুঘাট থানার ওসি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনদৃষ্টে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ৩ দিনের ভেতরে এফআইরগণ্যে রুজু করার জন্য আদেশ দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর