,

মাধবপুরে পরকিয়া প্রেমিক ও তার বন্ধুদের মাধ্যমে গণধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে প্রেরণ ॥ আজ ডাক্তারী পরীক্ষা

জুয়েল চৌধুরী ॥ মাধবপুরে পরকিয়া প্রেমিক ও তার বন্ধুদের মাধ্যমে গণধর্ষণের ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় প্রবাসী স্ত্রীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে মাধবপুর থানা পুলিশ তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আজ শনিবার তাকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে এ মামলার আটক আসামিরা ধর্ষণের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হল, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব মাধবপুরের মো. ইদ্রিস আলীর ছেলে বাদশা পাঠান, মো. সোয়াব মিয়ার ছেলে জীবন মিয়া, কাটিহারা গ্রামের মাহবুব মিয়ার মেয়ে লাকী আক্তার ও বিজয়নগর উপজেলার এক্তিয়ারপুর গ্রামের আবু সায়েদ মিয়ার ছেলে আতিক মিয়া। পুলিশ সূত্রে ও মামলার এজাহার মোতাবেক জানা যায়, মাধবপুরের বাঘাসুরা গ্রামের বিদেশফেরত এক বিবাহিত নারীর সঙ্গে বিজয়নগরের এক্তিয়ারপুর গ্রামের আতিক মিয়া নামে এক ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বুধবার দুপুরে নারীর সাথে দেখা করার জন্য মাধবপুরে নিয়ে আসে এবং পরে ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাস দেয় আতিক। এরপর তারা একান্ত সময় কাঠানোর জন্য মাধবপুর পৌর শহরের কাটিহারা গ্রামে লাকী আক্তারের বাসায় ৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে একটি কক্ষে উঠেন। পরে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করেন কথিত প্রেমিক আতিক। পরে তাদের উভয়কে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় বাদশা পাঠান ও জীবন মিয়া। পরে ঐ নারীকে তারা ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ রাতেই বাড়ির মালিক লাকী আক্তারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে ও একজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর