,

ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-তামাবিল মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ কাজের উদ্বোধন

সময় ডেস্ক ॥ ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-তামাবিল উভয় সড়কে পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৬-লেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যদিয়ে এ কাজের উদ্বোধন করেন সরকার প্রধান। সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী- কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালীতে নির্মিত পায়রা সেতুর উদ্বোধনের পর ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-তামাবিল মহাসড়কের ৬-লেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া সিলেট থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসময় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৩ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান হাবিব, হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ মিলাদ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকু রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে একটা সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি। সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে কিন্তু ধরলা সেতুও আমাদের সময় করা। যমুনা নদীর ওপর রেলসহ বঙ্গবন্ধু সেতু, এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা। কাজেই এদেশে যতটুকু উন্নয়ন সেটা আমরাই করেছি। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও দৃষ্টিনন্দন রেল স্টেশনসহ যত উন্নয়ন হয়েছে সবই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।’ স্বপ্নের এই মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত হলে বদলে যাবে সিলেট অঞ্চলের অর্থনীতির চিত্র। নতুন গতি পাবে শিল্প-বাণিজ্য ও পর্যটনে। শুধু তাই নয়, ছয় লেন হয়ে গেলে এ মহাসড়ক দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হওয়ারও আশা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে সিলেটের মানুষকে প্রথম চার লেনের স্বপ্ন দেখান সাবেক অর্থমন্ত্রী আব্দুল মাল আব্দুল মুহিত। সেই স্বপ্নের ডালপালা মেলে সময়ে সময়ে। এরপর ২০১৭ সালে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না হারবারের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। কিন্তু নানা কারণে তাদের কাজ আর এগোয়নি। এদিকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি একনেকের সভায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি এ মহাসড়কটি ছয় লেনের ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আর সর্বশেষ এডিবির দেয়া ঋণ অনুমোদনে নতুন আশার আলো দেখান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।


     এই বিভাগের আরো খবর