,

ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানের ইতিহাস

সময় ডেস্ক ॥ বিশ্বকাপে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের লড়াই মানেই ভারতের জয়। সেটা ৫০ ওভার কিংবা ২০ ওভারের সংস্করণে। এই দুই ফরমেটে ভারতকে কখনো হারাতে পারেনি পাকিস্তান। এর আগে ১২বারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই ফিরতে হয়েছে হার নিয়ে। অতীতে ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, মিসবাহরা যা করতে পারেনি, এবার তাই করে দেখালেন বাবর আজম। তার নেতৃত্বেই প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে দিলো পাকিস্তান। ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয়ে দারুন ভুমিকা রেখেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তাকে যোগ্য সহায়তা দিয়ে ৭৯ রানে অপরাজিত ইংনিস খেলেছেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। মূলত দুই ওপেনারের হারনা মানা ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের ইতিহাস গড়া জয়টি এসেছে ১০ উইকেটে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। শাহিন আফ্রিদির দারুন বোলিংয়ের পরেও আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫১ রান তুলে ভারত। ভারতের বোলিং-শক্তি বিচারে লক্ষ্যটা একেবারে সহজ ছিলো পাকিস্তানের। কিন্তু দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মসৃণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান যেন কোনোকিছু টের পাওয়ার আগেই জয় তুলে নিল! ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই ভারতকে হারিয়ে বাবর আজম বুঝিয়ে দিলেন এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানও ফেবারিট। শাহিন আফ্রিদি যদি পাকিস্তানের স্মরণীয় এ জয়ের প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, বাবর ও রিজওয়ান তাহলে বাকি কাজটা সেরেছেন। ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন বাবর। ওদিকে রিজওয়ান ৫৫ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে দারুণ সঙ্গ দেন অধিনায়ককে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। প্রতিবারই জয়ী দলটির নাম ভারত। ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ভারতের সঙ্গে সাত বারের মোকাবেলায় সবকটিতে হেরেছে পাকিস্তান। এবাবের বৈশ্বিক এই আসরের শুরুতেই মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। ম্যাচ শুরুর আগেই শুরু হয় বাগযুদ্ধ। ভারতে দাবি উঠে পাকিস্তানের ম্যাচ বয়কটের। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররাও টুর্নামেন্ট জয়ের চেয়ে ভারত জয়কে বেশি গুরুত্ব দিতে শুরু করেন। উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এ ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ৩ ওভারের মধ্যে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে দারুণ সূচনা এনে দেন পেসার শাহিন আফ্রিদি। ইয়র্কার লেংথের বলে রোহিতকে ‘ গোল্ডেন ডাক’ উপহার দেন বাঁহাতি এ পেসার। এরপর নিজের পরের ওভারের প্রথম বলে রাহুলকে তুলে নেন দারুণ এক ডেলিভারিতে। ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হন রাহুল (৩)। কোহলি ততক্ষণে উইকেটে চলে এসেছেন। শুরু হয় তাঁর ভারতের ইনিংস মেরামতের পাশাপাশি দ্রুত রান তোলার লড়াই। ১৮.৪ ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে কোহলি সে লড়াইয়ে পাস নম্বর তুলে নেন। অন্য প্রান্তের প্রায় সব ব্যাটসম্যানের সঙ্গেই জুটি গড়ার চেষ্টা করেন কোহলি। সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে এল ২১ বলে ২৫ রানের জুটি। চতুর্থ উইকেটে ঋষভ পান্তের সঙ্গে ৪০ বলে ৫৩ এবং পঞ্চম উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ৩৩ বলে ৪১ রানের জুটিতে ভারতের ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন অধিনায়ক। ৩০ বলে ৩৯ রান করা পান্ত আর কিছুক্ষণ উইকেটে থাকলে ভারতের সংগ্রহ আরও বড় হতে পারত। কিন্তু প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে হবে পাকিস্তানের বোলারদের। হাসান আলী, শাহিন আফ্রিদি ও ইমাদ ওয়াসিম মিলে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ভারতকে ৩ উইকেটে ৩৬ রানের বেশি তুলতে দেননি। ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি


     এই বিভাগের আরো খবর