,

সড়ক ও জনপথের অনুমোদন ছাড়া শায়েস্তাগঞ্জে যাত্রী চাউনির স্টল ও বাথরুমের ইজারা আহবান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক ও জনপথের অনুমোদন ছাড়া শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রীজে নির্মিত দুটি যাত্রী চাউনির স্টল ও বাথরুমের ইজারা আহবান করেছে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে ইজারা থাকাকালীন সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে যাত্রী চাউনির দোকানগুলো উচ্ছেদ করে দেয়। এতে ব্যবসায়ীরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১০ সালে নির্মাণের পর জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন তারা। কিন্তু ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে সড়ক কর্তৃপক্ষ। এ সময় অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট
জানান এ দুটি যাত্রী চাউনি সড়ক বিভাগের অনুমোদন নিয়ে তৈরি করা হয়নি। পরে সওজ কর্তৃপক্ষ ইজারাদারদেরকে উচ্ছেদ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। পরবর্তীতে কিছুদিন চাউনি দুইটি পরিত্যাক্ত থাকার পর ২০২০ সালে আবার ইজারা আহবান করে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। সে সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে কোন উত্তর না নিয়েই ইজারা চুড়ান্ত করে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি আবারও ইজারা আহবান করেছে জেলা পরিষদ। একদিকে ইজারা আহবান করেছে জেলা পরিষদ অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৪ লেনের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে আছেন ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা। শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রীজ এলাকার ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদনহীন যাত্রী চাউনির স্টল পুনরায় ইজারার ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৪ লেনে উন্নয়ন কাজ করার সময় আবার উচ্ছেদ করা হবে। তখন লীজ গ্রহীতারা পূর্বের ন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তাই তিনি ইজারা বন্ধের দাবী জানান। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রমজান আলী বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রিজে যাত্রী চাউনি নির্মানের সময় সওজ থেকে কোন ধরনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। যেহেতু এই সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করা হবে সেহেতু অতিশীঘ্রই চাউনি গুলো ভেঙে ফেলা হবে। আমরা জেলা পরিষদকে চিঠি দিয়ে অবগত করবো যাতে তারা পুনরায় ইজারা না দেয়। একই বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা ইজারা দেওয়ার পর যদি সওজ কর্তৃপক্ষ ভেঙে ফেলে তখন ইজারাদারদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর