,

হবিগঞ্জে যুবদল সভাপতি ইলিয়াসের জানাযা সম্পন্ন ॥ লাখো মানুষের ঢল

জুয়েল চৌধুরী ॥ লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ২নং রিচি ইউনিয়নের ২ বারের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের সভাপতি, দিগন্ত পরিবহন গাড়ি’র মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াছের প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় হবিগঞ্জ শাহী ঈদগাঁয় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুর ২টায় জালালাবাদ গ্রামে ২য় জানাজার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে হবিগঞ্জ-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি, জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জিকে গউছসহ আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ যে, গত বুধবার বিকাল ৪টার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর এক সপ্তাহ আগে তার ছোট ভাই মারা গিয়েছিলেন। এর পর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াছের বয়স হয়েছিল (৪৪) বছর। তার এই অকাল মৃত্যুতে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা যায়, রাজনৈতিক জীবনে ও তিনি সকলের কাছে একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দুই বার রিচি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার প্রশংসা রয়েছে সর্বত্র। যে কোনো লোকের জন্য সব সময় উন্মুক্ত ছিল তার দরজা। ছোট থেকে বড় পর্যন্ত এক নামে চিনতেন মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াছকে। তাহার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হবিগঞ্জ জেলা সর্ব মহলে শোকের ছায়া নেমে আসছে। একজন দায়িত্বশীল অমায়িক মানুষকে আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেলেন। এক নজর দেখার জন্য তাহার বাসায় সব শ্রেণীর মানুষ ভিড় জমায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে, বাবা, ভাই, বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। প্রসঙ্গত, গত বুধবার ছিল যুবদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এ উপলে দলের প্রতিষ্টা বার্ষিকী পালনের জন্য তিনি গত মঙ্গলবার রাতে তিনি হবিগঞ্জ আসেন। সকালে শহরের সিনেমা হল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামন থেকে মিয়া মোঃ ইলিয়াছের র‌্যালী বের করা হয়। পরে তিনি বাসায় চলে যান। বাসায় গিয়েই তিনি দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। সাথে সাথে তাকে চাঁদের হাসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হবিগঞ্জ-ঢাকা, হবিগঞ্জ-চট্টগ্রাম রোডে চলাচলকারী দিগন্ত বাসের স্বত্বাধিকারী মিয়া মোঃ ইলিয়াছের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখার জন্য শহরের ডাকঘর এলাকাস্থ বাসভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীসহ সকল পর্যায়ের লোকজন ছুটে আসেন। উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিয়া মোঃ ইলিয়াছের ছোট ভাই মো. সাজিদুর রহমান সাজু। এর আগে তার আরো দু’ভাই ইন্তেকাল করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর