,

চুনারুঘাটে বহুরূপী পারুল গ্রেফতার

সংবাদদাতা ॥ কখনো সাংবাদিক, কখনো মানবাধিকার কর্মী, কখনো ব্রাক এনজিও কর্মী সহ বহুমুখী প্রতারণায় অভিযুক্ত পারুল আক্তার (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। পারুল চুনারুঘাট উপজেলার রাণীরকোর্ট গ্রামের রমিজ মিয়ার মেয়ে। একই এলাকার পন্ডীত মিয়ার ছেলে ও স্ত্রী সেলিনাসহ ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখমের অভিযোগে চুনারঘাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে আদালতরে মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। পারুল আক্তার নামটি চুনারুঘাট উপজেলাজুড়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচিত। অবশ্য ইতিবাচকভাবে নয়, বরং নিজের সীমাহীন কুকীর্তির মাধ্যমেই আলোচনায় এসেছেন ধুরন্ধর এই নারী। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রানিরকোর্ট এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া পারুল অপরাধজগতের অন্ধকার সব এলাকায় বিচরণ করে চিনিয়েছেন নিজেকে। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আলী আশরাফ জানান, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় সেলিনা একই এলাকার সেলিনা খাতুনের দায়েরকৃত মামলায় ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সময়ের পরিবর্তনে খোলস পাল্টে মানবাধিকার কর্মী সেজে বিচার শালিসীর নামে অর্থ আত্মসাৎ, ব্ল্যাকমেইলিং সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তাকার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তথ্য মতে, অতি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া পারুল আক্তারের কিশোরী বয়স থেকেই অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরে। পারুল প্রতারণা ফাঁদ পেতে সাধারণ মানুষদের হয়রানী করে আসছে বলে অভিযাগ রয়েছে। মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপজেলা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াতো পারুল। চুনারুঘাট ছাড়াও জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলাতে এই চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছেন অনেকেই। ফোনে অফিসে বা গোপন স্থানে ডেকে চাঁদা আদায় করা, ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা উপার্জন করা, ছিনতাই, মাদক কারবার, মাদক সেবনসহ নানা অপরাধ করার অভিযোগ রয়েছে এসব কথিত সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে।


     এই বিভাগের আরো খবর