সংবাদদাতা : বানিয়াচংয়ে বিএনপির সহযোগী সংগঠন কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ লিটনের নেতৃত্বে যৌথ হামলায় নারী-পুরুষকে কুপিয়ে রক্তাক্তের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন ৫ জন। এরমধ্যে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মান্না আক্তার নামে ১ জনকে সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকাল ৩ টায় উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের শরীফখানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টাকার লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিলো একই এলাকার পাভেল সর্দার ও নেহার বেগমের মধ্যে। এনিয়ে পাভেল সর্দার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ঘটনার দিন পাভেল সর্দার ও তার লোকজন আদালতে হাজিরা দিতে যান। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুরুষ শূন্য বাড়িতে নেহার বেগমের লোকজন হামলা চালিয়ে পাভেল সর্দারের বাড়ির নারীদের কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আদালত থেকে পাভেল সর্দার, সুহেল মিয়া, মোর্শেদা বেগম বাড়িতে ফিরে দেখেন মান্না আক্তারকে হাতে কোমরে কুপিয়ে ও বৃদ্ধ আয়ূব সর্দারকে মেরে ২টি দাত ফেলে দিয়েছে নেহার বেগমের লোকজন। তখন পুনরায় আবারো উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত হন শরীফখানি মহল্লার পাভেল সর্দারের লোক আয়ূব সর্দারের মেয়ে মান্না আক্তার (৩২), মৃত মনু সর্দারের ছেলে আয়ূব সর্দার (৮০), সুহেল সর্দার (৩৪), পাভেল সর্দারের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩৫) ও প্রতিপক্ষের নেহার বেগম (৬২)। স্থানীয়রা সংঘর্ষ থামিয়ে আহতদের হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে মান্না আক্তারের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটে প্রেরণ করেন। আহতরা জানান, স্থানীয় ২নং ইউনিয়নের শেখের মহল্লা গ্রামের মৃত ময়না মিস্ত্রির ছেলে সাবেক বিএনপি নেতা জীবন আহমেদ লিটনের আত্মীয় নেহার বেগম। এই সুবাধে জীবন ও তার ভাই সাহেদ মিয়া নেহার বেগমের পক্ষ নিয়ে অন্য এলাকা থেকে শরীফখানী এসে ঘটনার যৌথ নেতৃত্ব দিয়ে নেহার বেগমের লোক ফয়েজ মিয়া, অর্ধ মিয়া, শিপন আক্তারকে সাথে যৌথভাবে তাদেরকে দাড়ালো অস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। হামলার ঘটনায় এখনও কোন মামলা দায়েরের খবর পাওয়া যায়নি। হামলার ঘটনায় পাভেল সর্দার বলেন, স্বজনদের নিয়ে চিকিৎসায় আছি। চিকিৎসা শেষে হামলা কারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।