,

বাহুবলে আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রধান আসামী জাবেদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ

বাহুবল প্রতিনিধি : বাহুবলে আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রধান আসামী জাবেদ মিয়াকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাহুবলে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, জানা যায়, বাহুবল উপজেলার মিরপুর সানশাইন হাইস্কুলের জৈনিক এক শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ মূহুর্তের বিভিন্ন ছবি ভুয়া আইডি ব্যবহার করে ভাইরাল করা হচ্ছিলো, বিষয়টি গত ২৫-০৪-২২ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নজরে আসে ঐ শিক্ষিকা ও তার আত্মীয়স্বজনের। তিনি পরিবার ও স্থানীয় ময়মুরুব্বিদের সাথে আলোচনা করে নিজের মানসম্মান রক্ষার স্বার্থে মিরপুর ইজ্জতনগর ও প্রকাশিত তিতারকোনা গ্রামের কদর আলীর ছেলে মোঃ জাবেদ মিয়া ওরফে জাবেদ আহমেদকে প্রধান আসামী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাহুবল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে বাহুবল মডেল থানার এস আই সমীরণ চন্দ্র দাশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে জাবেদ মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। পরে জাবেদ মিয়া ওরফে জাবেদ আহমেদ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (২০১৮) অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সমীরণ চন্দ্র দাশ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৯ হবিগঞ্জে রিমান্ড আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত জাবেদ মিয়ার ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন, ২২ মে জাবেদ মিয়াকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জাবেদ মিয়ার কাছ থেকে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডির সন্ধান পায় পুলিশ, গত সোমবার ২৩ মে ১ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সমীরণ চন্দ্র দাশ জানান, মিরপুর কচুয়াদি গ্রামের হাজী বাচ্চু মিয়ার মেয়ে শিক্ষিকা শারমিন আক্তার বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় আমাকে। আমি মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামী জাবেদ মিয়ার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করি, আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন, ২২মে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে জাবেদ মিয়ার কাছ থেকে বিভিন্ন অপকর্মের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা তদন্তের স্বার্থে বলা সম্ভব হচ্ছেনা। খুব শীঘ্রই মামলার অগ্রগতি প্রকাশ পাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর