,

বাহুবলে কাজ অসমাপ্ত রেখেই বিলে স্বাক্ষর নিতে ইউএনও ও প্রকৌশলীর চাপ :: চেয়ারম্যানের নাতি আটক

বাহুবল প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সদর ইউনিয়নের লোহাখলা হইতে ভেড়াখাল গ্রামের রাস্তার উন্নয়নের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে বিলে স্বাক্ষর নিতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে চাপ প্রয়োগ করেছেন ইউএনও ও প্রকৌশলী। ফেসবুকের ভিডিও বার্তায় এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানের নাতি লোহাখলা গ্রামের সৈয়দ মামুন নামের এক যুবককে ইউএনও আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন বলে খবর পাওয়া যায়।
জানা যায়, এডিপি প্রকল্প থেকে রাস্তার উন্নয়নে উপজেলা চেয়ারম্যান লোহাখলা গ্রামে ১৯ লক্ষ টাকার একটি টেন্ডার প্রদান করলে কাজটি পায় সানজিদা এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পরে ৫শ মিটার কাজের মধ্যে অর্ধেক কাজ করার আগেই ফাইনাল বিল নিতে আবেদন করে সানজিদা এন্টারপ্রাইজ। বিলটি উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে আসলে বুধবার (২৯ জুন) সকালে তিনি রাস্তাটি পরিদর্শনে যান।পরিদর্শনে তিনি রাস্তাটির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় বিলে স্বাক্ষর দিবেন না বলে জানালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমা ও উপজেলা প্রকৌশলী রকিবুল হাসান তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এসময় এক পর্যায়ে ইউএনও চেয়ারম্যানের নাতি মামুনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বিকেলে লোহাখলা গ্রামের রাস্তার অসামাপাপ্ত কাজ নিয়ে একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করলে বিষয়টি ভাইরাল হয়। এনিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
সদর ইউনিয়নের নারী সদস্য হামিদা আক্তার বলেন, আজ সকালে গিয়ে দেখি রাস্তার কাজ অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে আর অর্ধেক কাজ বাকী রয়েছে। এ নিয়ে ইউএনও বিলে স্বাক্ষর নিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, কাজ কিছু অংশ বাকী রয়েছে, দু এক দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তাছাড়া ঠিকাদারের জামানতও রয়েছে, যে কারণে বিলে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুময়া শারমিন ফাতেমাকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান বলেন, আমার বরাদ্ধ দেয়া রাস্তার সব কাজ বাকী রেখে বিলে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ফোন করেন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আমাকে বিলে স্বাক্ষর দিতে অনুরোধ করেন। আমি আজ বুধবার সকালে গিয়ে দেখি দশ পার্সেন্ট কাজ এখনো হয়নি। তাছাড়া বিলের ফাইলে অনেক তথ্যই দেয়া হয়নি। কাজ অসামাপ্ত রেখেই বিলে স্বাক্ষর দিতে ইউএনও চাপ প্রয়োগ করছেন। বিস্তারিত আমি ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে বলেছি। তিনি আরো বলেন, থানায় গিয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিযার তার নাতিকে বলেন, চেয়ারম্যান বিলে স্বাক্ষর করলে তুমি ছাড়া পেয়ে যাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর