,

সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন :: চাঁদের হাসি, মুন ও মাদার কেয়ারে সিভিল সার্জনের অভিযানে মিলেছে সত্যতা

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে সরকারি হাসপাতালের অফিস ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকেন ডাক্তাররা। যার ফলে গ্রামগঞ্জ থেকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হন। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাসপাতালের নিয়োজিত প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের দালালরা ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার নামে গলাকাটা ফি আদায় করছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডাক্তারদের চিকিৎসা দেয়ার নিয়ম হচ্ছে সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। কিন্তু অধিকাংশ ডাক্তারই নামেমাত্র হাসপাতালে এসে হাজিরা দিয়ে চলে যান প্রাইভেট হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে চিকিৎসা দিতে। আবার রোগীদের চাপ বাড়লে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করেন।
খবর নিয়ে জানা গেছে, কতিপয় ডাক্তাররা প্রাইভেট ক্লিনিকের সাথে অলিখিত চুক্তিবদ্ধ। প্রাইভেট ক্লিনিকে আসা রোগীকে আধঘণ্টা বসিয়ে রেখে ক্লিনিক মালিকরা তাদের চুক্তিকৃত সদর হাসপাতালের সরকারি ডাক্তারকে ফোন করে নিয়ে যান তাদের ক্লিনিকে। ফলে একসাথে দুই স্থানে অনেকেই সহজে রোগী দেখতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হন সদর হাসপাতালে আসা রোগীরা। সরকারি হাসপাতালে দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা দিতে সরকার বেতন দিয়ে চিকিৎসক নিয়োগ দিলেও তারা অতিরিক্ত ইনকামের আশায় প্রাইভেট ক্লিনিকে অতিরিক্ত সময় দিচ্ছেন।
হবিগঞ্জ শহরের নামিদামি শায়েস্তানগরের মুন জেনারেল হাসপাতাল, নতুন পৌরসভা সড়কের মাদার কেয়ার, চাঁদের হাসিসহ বিভিন্ন হাসপাতালে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালের সরকারি সুলাইমান, তার স্ত্রী হালিমা নাজরিন, ফেরদৌসি ইসলাম, রোজিনা রহমান, পরেশ চন্দ্র দেবনাথ অনেক নামি ডাক্তার চিকিৎসা করেন। কিন্তু রোগীদের অভিযোগ, তাদেরকে সদর হাসপাতালে পাওয়া যায় না। ফলে রোগীরা বিপাকে পড়ে বাধ্য হয়ে এসব ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা করান।
বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে এলে সিভিল সার্জন নুরুল হকসহ প্রশাসনের লোকজন গতকাল সোমবার চাঁদের হাসি, মুন জেনারেল হাসপাতাল, মাদার কেয়ারসহ প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এর আংশিক সত্যতা পান। এ সময় সরকারি ডাক্তারদেরকে সতর্ক করা হয়। যাতে তারা পরবর্তীতে একই ভুল আর না করেন। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন জানান, অভিযান তাদের নিয়মিত চলবে।


     এই বিভাগের আরো খবর