,

মিষ্টির সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক

সময় ডেস্ক : ডায়াবেটিস হয় যখন শরীরে ইনসুলিন নামক হরমোনের ঘাটতি থাকে বা শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ইনসুলিনের অভাব থাকে বা কাজ করতে না পারে। ডায়াবেটিস প্রধানত দুই ধরনের আছে। টাইপ-১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে শরীরে একেবারেই ইনসুলিন থাকে না। তাই রোগ ধরা পড়ার পরপরই ইনসুলিন শুরু করতে হবে। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে শরীরের ইমিউন সিস্টেম ইনসুলিন তৈরি করার কোষ অগ্ন্যাশয়ের বিটা সেলকে ধ্বংস করে। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের সঙ্গে অন্যান্য অটো ইমিউন রোগ যেমন হাইপোথাইরডিজম ও শ্বেতী রোগ বা ভিটিলিগো থাকতে পারে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে যেহেতু শরীরের অভ্যন্তরীণ একটি প্রক্রিয়ায় টাইপ-১ ডায়াবেটিস হচ্ছে, আপনি চাইলেই তা প্রতিরোধ করতে পারবেন না। তবে ডায়াবেটিস যেহেতু প্রধানত শর্করা জাতীয় খাদ্যের বিপাকঘটিত একটি রোগ, তাই পরিশোধিত শর্করা যেমন চিনি, মিষ্টি, ভাত পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে হবে। ইচ্ছামতো বেশি খাওয়া যাবে না। তবে চিনি, মিষ্টি না খেলেও কিন্তু আপনার টাইপ-১ ডায়াবেটিস হতে পারে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে : টাইপ-২ ডায়াবেটিসের তুলনায় টাইপ-১ ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা কম। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে শরীরে ইনসুলিন থাকে কিন্তু ইনসুলিন রেজিসট্যান্সের কারণে ইনসুলিন কাজ করতে পারে না। অতিরিক্ত ওজন ইনসুলিন রেজিসট্যান্সের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই আপনি যদি ওজন কমিয়ে ইনসুলিন রেজিসট্যান্স কমাতে পারেন তাহলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ওষুধ বা ইনসুলিন ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হবে? আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি, মিষ্টি বা রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট খান (ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয়) তাহলে এই অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে ফ্যাট আকারে জমা হবে এবং ইনসুলিন রেজিসট্যান্স তৈরি করবে। পরোক্ষভাবে আপনাকে ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যাবে। এ ছাড়া টাইপ-২ ডায়াবেটিসে সাধারণত পারিবারিক ইতিহাস থাকে। যেমন—মা, বাবা, নানা, দাদার ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকে।
পরিবারে ডায়াবেটিস না থাকলেই যে ডায়াবেটিস হবে না, তা নয়। আমরা ডায়াবেটিসকে বলি মাল্টিফ্যাক্টরিয়াল রোগ। বংশগত, পরিবেশগত লাইফ স্টাইল অনেক কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।
আরেক ধরনের ডায়াবেটিস আছে, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস। গর্ভাবস্থায় শরীর থেকে কিছু হরমোন নিঃসৃত হবে, যা ইনসুলিনকে কাজ করতে দেয় না বা ইনসুলিন রেজিসট্যান্স তৈরি করে। তাই গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে তাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলে। এর ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই বাচ্চা ডেলিভারির পর এই ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর