,

বাহুবল ও লাখাই থেকে ১৬ জুয়াড়িকে আটক করেছে ডিবি

জুয়েল চৌধুরী : জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাড়াশি অভিযানে বাহুবল ও লাখাইয়ে ওয়ানটেনের বোর্ড থেকে ১৬ জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে। তবে পশ্চিম জয়পুরে তারা মিয়ার জুয়ার বোর্ডের তথ্য নেই পুলিশের কাছে। এ নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। জানা যায়, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলির নির্দেশে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ১৫ দিনে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি বিশেষ দল অর্ধশতাধিক জুয়াড়িকে আটক করেন। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের ম্যানেজ করেই তারা এসব কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। গত সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বাহুবল ও সদর থানার লস্করপুর থেকে ১৫ জুয়াড়িকে সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ আটক করেন ডিবির ওসি সফিকুল ইসলামসহ একদল পুলিশ।
আটকরা হল, বাহুবল উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের আব্দুল হাসিমের পুত্র সিদ্দিক আলী, বসিনা গ্রামের মৃত আবু তৈয়বের পুত্র নোমান মিয়া, তিতারকোনা গ্রামের মৃত খলিল পাটোয়ারীর পুত্র জামাল আহমেদ, স্বর্ণরেখ গ্রামের আব্দুল মন্নাফের পুত্র ফজলু মিয়া, মিজানুর রহমানের পুত্র কাওসার মিয়া, সুঘর গ্রামের কদ্দুছ মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া, কালিগঞ্জ গ্রামের মৃত রহম আলীর পুত্র মধু মিয়া। অপরদিকে লাখাই উপজেলার ভোমাপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের পুত্র রফিকুল ইসলাম, মৃত ফজলুল মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়া, মৃত রইছ আলীর পুত্র খলিল মিয়া, মৃত সুজন আলীর পুত্র পলাশ মিয়া, মৃত লাল মিয়ার পুত্র আফরোজ মিয়া, মৃত রহমান মিয়ার পুত্র মুর্শিদ মিয়া। এ সময় অন্য জুয়াড়িরা পালিয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা মিয়ার নেতৃত্বে মিরপুর বাজারে শান্তা হোটেলের পাশে পশ্চিম জয়পুরে আইয়ূব আলী, ফারুক মিয়া, জিলাই মিয়া ও শ্রীমঙ্গলের শাহ আলম প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ওয়ানটেনের বোর্ড বসায়। আর বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়ি বহরে জুয়াড়িরা এসে যোগ দেয়। চলে লাখ লাখ টাকার খেলা। যদিও স্থানীয় পুলিশ কমিশন পেয়ে থাকে বলে জানা গেছে। তবে ডিবির দাবি তাদের নজরে বিষয়টি নেই। তবুও যেহেতু জেনেছেন, অভিযোগ পেলেই অভিযান করা হবে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ বাদি হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর