,

লাখাইয়ে এ বছর বোরো ধান আবাদে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

লাখাই প্রতিনিধি : লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাওরের মাঠে কৃষকদের কষ্টের লালিত রোপণ করা বোর ধানের চারা উঁকি দিচ্ছে সোনালী সপ্নে। প্রতিটি হাওরের মাঠে সবুজের সমারোহ বোর ধানের ক্ষেত দেখে মনে হয় এ যেন আবহমান গ্রামবাংলার উদ্ভাসিত এক অপরূপ সবুজে ঘেরা ভূমি।
লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায় মনোমুগ্ধকর সবুজ ধান ক্ষেতের অপরূপ মনোরম দৃশ্য। চলতি বোরো মৌসুমে চারা রোপণের পর ফাগুনের প্রখর রোদে ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকগন। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাওর ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বোর মৌসুমে এখন পর্যন্ত ধানের চারায় তেমন কোন রোগ বালাই এখন পর্যন্ত দেখা দেয়নি।তাই বোর ধান চাষে এবারের চিত্র ভিন্ন দেখা যাচ্ছে। চারা রোপণের শেষে বেশ কয়দিন আগে রাতে বৃষ্টি হয়েছে এবং রোপণকৃত ধানের চারা কৃষকরা মনোযোগ সহকারে নিভির পরিচর্যায় ধানের চারা দ্রত বেড়ে উঠেছে। তাই মাঠ গুলো সবুজে চেয়ে গেছে ধান ক্ষেত।
সারাদিন কৃষক ও শ্রমজীবি কৃষকগন কর্মব্যস্ততায় মুখরিত ফসলের মাঠ গুলি। আর নব দিঘন্ত মাঠ জুড়ে উঁকি দিচ্ছে কৃষকের সোনালী ভবিষ্যৎ সপ্ন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায় এ বছর চলতি বোর মৌসুমে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে ১১১৭৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোর ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুক্ষীণ না হলে ফলনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪৪৪৬৩ মেঃ টন ধান।
লাখাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ শাকিল খন্দকার বলেন এ উপজেলায় খাদ্যের প্রয়োজন ২৭১৯৫ মেঃ টন চাল। চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত চালের পরিমান ৩২৭৯৫ মেঃ টন চাল।
তিনি আরো বলেন স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকদের কে বিনামূল্যে সার-বীজ কীটনাশক বিতরণ করেছি এবং আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কে নিয়মিত ভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান এখন পর্যন্ত বোর ধানের চারায় কোন প্রকার রোগ বালাই দেখা দেয়নি ফলে আশানুরূপ বোর ধানের ফলনের আশাবাদী।


     এই বিভাগের আরো খবর