,

খরায় পুড়ছে হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগান :: হুমকির মুখে উৎপাদন

স্টাফ রিপোর্টার : ক্রমাগত চা-শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে জলবায়ু পরবির্তন। চলতি মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় দীর্ঘ খরার কবলে পড়েছে হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগান। এতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বাগান মালিকদের মধ্যে। গেল বছরের টানা শ্রমিক অসন্তোষের পর এবার খরা– তাতে চলতি বছরেও লোকসানের শঙ্কায় বাগানগুলো।
জানা যায়, মার্চ মাস থেকে শুরু হয় চা মৌসুম। এ সময়ের মধ্যে নতুন কুঁড়ি ও পাতা চলে আসার কথা থাকলেও এবারের দৃশ্যপট ভিন্ন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় অধিকাংশ বাগানেই আসেনি নতুন কুঁড়ি। তাই বাগানজুড়ে নেই শ্রমিকদের পাতা উত্তোলনের ব্যস্ততাও। বন্ধ রয়েছে কারখানা। বাগান কর্তৃপক্ষ বলছেন, চা-শিল্প পুরোপুরি বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত চা বাগানে অন্তত ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি বৃষ্টির প্রয়োজন। অথচ চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত তেমন বৃষ্টি হয়নি হবিগঞ্জে। ফলে দীর্ঘ খরার কবলে পুড়ছে জেলার ২৪টি চা বাগান।
কয়েকটি বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সেগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। যে সময়টাতে কুঁড়িতে ভরে ওঠে বাগানগুলো, এখন সেই সময়ে নেই কুঁড়ির দেখা। উল্টো খরার কারণে অনেক গাছই জ্বলে যাচ্ছে। মালিকেরা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে যদি এভাবে চলতে থাকে তা হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করতে পারে চা বাগানে।
নালুয়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর শ্রমিক অসন্তোষের কারণে লোকসানের মুখে পড়ে চা-শিল্প। চলতি বছর সেই লোকসান কাটিয়ে ওঠার পরিকল্পনা ছিল বাগান মালিকদের। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নতুন করে লোকসানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মলয় দেব রায় জানান, অনাবৃষ্টি ও খরার কবলে পড়ে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে অনেক চা গাছ। পাশাপাশি লাল বর্ণ ধারণ করছে পাতাগুলো। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে এসে যেখানে ৭০ শতাংশ চা গাছে নতুন কুঁড়ি আসার কথা, সেখানে এসেছে ২০ শতাংশেরও কম।
নালুয়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ইফতেখার এনাম জানান, এ বছর বাগানগুলো পুরোপুরি সেচনির্ভর হয়ে পড়েছে। আবার পানির একমাত্র উৎস ছড়াগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় সেটিও সম্ভব হচ্ছে না।


     এই বিভাগের আরো খবর