,

মৃগীরোগীরাও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে, মানতে হবে সাবধানতা

সময় ডেস্ক : নিউরোলজিস্ট যখন কাউকে বলেন, আপনার প্রিয়জন মৃগীরোগে আক্রান্ত হয়েছে, তখন পরিবারের সবাই ভয়ে কুঁকড়ে যায়। অনেক অভিভাবক আছেন শিশুদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেন। তাঁরা ভাবেন, মৃগীরোগ হলে কেউ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে না। এটা খুবই ভুল ধারণা। অনেকে বলেন, লেখাপড়া করে কী হবে, আমার সন্তান তো স্বাভাবিক নয়। আমার সন্তান তো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে না। জানেন কি?
মৃগীরোগ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো সমস্যা করে না। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের নাম শুনেছেন। তাঁর মতো দিগ্বিজয়ী যোদ্ধা কিন্তু কমই জন্মেছেন এ জগতে। তিনি ছিলেন মৃগীরোগে আক্রান্ত। অ্যারিস্টটলের নাম শোনেনি এমন লোক কি আছে? তাঁর মতো দার্শনিক তো কমই আছেন। তিনিও কিন্তু মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিলেন। এমন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি যে মৃগীরোগী ছিলেন তার ইয়ত্তা নেই। এঁরা যদি মৃগীরোগ নিয়ে বিশ্ব জয় করতে পারেন, বিশ্ববরেণ্য হতে পারেন, তাহলে আপনার শিশু বা প্রিয়জন কেন নয়?
মানতে হবে সাবধানতা মৃগীরোগে আক্রান্ত শিশুরা স্বাভাবিক স্কুলেই পড়তে পারে। স্বাভাবিক অন্য বাচ্চাদের মতোই খেলাধুলা করতে পারে। তবে সাবধান হতে হবে- মৃগীরোগ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পানিতে সাঁতার কাটা, নদী-পুকুরে নামা, আগুনের কাছে যাওয়া, ধারালো বস্তু নিয়ে কাজ করা, গাড়ি ড্রাইভিং করা এবং একাকী রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে না। রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বাভাবিক সব কিছুই করা সম্ভব। স্কুলের শিক্ষকদের আপনার সন্তানের মৃগীরোগের কথা জানিয়ে রাখুন। খিঁচুনি শুরু হলে কী করতে হবে তা-ও জানান।
চিকিৎসা : প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি এপিলেন্সির চিকিৎসা ভিন্ন ভিন্ন। প্রথমে পরীক্ষা করে জানতে হয় রোগী কোন ধরনের খিঁচুনিতে আক্রান্ত। ওষুধ দিয়েই প্রাইমারি খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ডোজও কম লাগে। চিকিৎসক ওষুধের মাত্রা ঠিক করে দেওয়ার পর খিঁচুনির রোগীদের নিয়মিত ওষুধ সেবন করা। সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট, লিমোট্রিজিন, ফেনিটয়িন বা ফেরিবারবিটন জাতীয় ওষুধ স্বল্প মাত্রায় প্রথমে সেবন করতে হয়। ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়াতে হয়।
মৃগীরোগ হলে স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো বাধা নেই। তবে মৃগীরোগের ওষুধ নিয়মিতভাবে খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। ওষুধ বন্ধ করলে খিঁচুনি দেখা দেবে। শিশুদের হাতে ওষুধ না দিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওষুধ খাওয়ান


     এই বিভাগের আরো খবর