,

বানিয়াচংয়ে জমিজমা ও মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে দুইজন নিহত :: আহত অর্ধশতাধিক

দেশীয় অস্ত্র জব্দ :: ২০ দাঙ্গাবাজ আটক

জুয়েল চৌধুরী : বানিয়াচংয়ে জমিজমা ও মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই দলের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক। পুলিশ দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে উভয়পক্ষের ২০ দাঙ্গাবাজকে আটকসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের মশাকলি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ঘটনার পর পরই গ্রেফতার আতংকে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রাম। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক আহতরাই সটকে পড়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মশাকলি গ্রামের সুধাম দাস ও গৌরাঙ্গ দাস, মাতব্বর সিল্টু দাস ও হরিদাসের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ শ্মশানের জমি ও যৌথ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল ওই সময় বিরোধপূর্ণ একটি ডোবায় মাছ ধরা নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এক পক্ষ আরেকপক্ষের ওপর টেটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে সুব্রত দাস (৩৬) নামের একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
খবর পেয়ে বানিয়াচং ও সদর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৫ জনকে সিলেট ওসমানি মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এর মাঝে রাস্তায় সুনীল দাসের পুত্র সুজিত দাস (৩৫) মারা যায়। লাশ দুইটি সদর থানা পুলিশ সুরতহাল করে মর্গে প্রেরণ করেছে। আজ শুক্রবার তাদের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, সদর থানার ওসি গোলাম মর্তুজা, বানিয়াচং থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ একদল পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যান এবং আহতদের খবর নেন। এ সময় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়। তবে এ রিপোর্ট লেখাকালে ২০ জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার জানান, বেশ কয়েকজন দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। এর সাথে যারাই থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর