,

আইসিটি বিভাগে চাকরি পেলেন সার্টিফিকেট পোড়ানো সেই মুক্তা

সময় ডেস্ক : সরকারি চাকরির না পাওয়ায় এবং বয়স পেরিয়ে যাওয়ার হতাশা থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ পুড়িয়ে ফেলেছিলেন মুক্তা সুলতানা। তার সার্কিফিকেট পোড়ানোর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়। এবার সেই তরুণীকে চাকরি দিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। আইসিটি বিভাগের একটি প্রকল্পে তাকে ৬ মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক চাকরি দেওয়া হয়েছে।
মুক্তা সুলতানাকে গতকাল সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে ডাকা হয়। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিজের দপ্তরে মুক্তার সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনার পর প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুক্তার হাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টের ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। তার মাসিক বেতন ৩৫ হাজার টাকা। এ সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তা বলেন, ছোটবেলায় আমার বাবা মারা গেছেন। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় পরিবার আমার বিয়ে দিতে চেয়েছিল। সে বিয়ে ভেঙে দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার পর ৯ বছর বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি চাকরি করে ছোট তিন ভাইবোনের খরচ চালিয়েছি। এর পাশাপাশি নিজে পড়াশুনা করেছি। এরপর সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেজন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময় পাইনি। তার আগেই সরকারি চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে যায়।
সরকারি চাকরি না পাওয়ার হতাশা আর ক্ষোভ থেকে শিক্ষাজীবনে অর্জিত সকল সনদ পুড়িয়ে দেন বলে জানান মুক্তা। তিনি বলেন, আমার সার্টিফিকেট পোড়ানোর সেই ভিডিও দেখে প্রতিমন্ত্রী আমাকে খুঁজে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞ। এখনও আমার কাছে পুরো বিষয়টি বিস্ময়ের।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রযুক্তির শক্তি কাজে লাগিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে চাকরির পেছনে ঘুরতে হবে না। বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।
মুক্তা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামের বাসিন্দা। ২০১৯ সালে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। গত মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে এসে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ পুড়িয়ে ফেলেন মুক্তা।


     এই বিভাগের আরো খবর