স্টাফ রিপোর্টার : শহরে একের পর এক মোটর সাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। শহরবাসী মনে করছেন এতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। চোরের হাত থেকে সাংবাদিক, আইনজীবীসহ কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। তবে বেশিরভাগ সাংবাদিকদেরই মোটর সাইকেল চুরি হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থাকলেও পুলিশ তাদের সনাক্ত করতে পারছে না। এদিকে ঢাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া থেকে অভিযান চালিয়ে একটি গ্যারেজ থেকে ১২টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার ও একজনকে আটক করে। কিন্তু শহরবাসীর প্রশ্ন, যে কাজটি ঢাকার পুলিশ করতে পারে, সে কাজটি স্থানীয় পুলিশ কেনো ব্যর্থ হচ্ছে। তবে এ চক্রের গডফাদার আষেড়া গ্রামের রিপন কারাগারে থাকলেও অন্য গডফাদার বহুলা গ্রামের রিপন বাইরে থাকায় এসব মোটর সাইকেল চুরি হচ্ছে বেশি। গতকাল সোমবার সকাল ৮টায় শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে তরফ বার্তা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবুল কাসেমের সুজুকি জিকসার ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় চোর। যার সিসি ফুটেজ পুলিশের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এর আগে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল চৌধুরী, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল হাকিম, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এমদাদুল ইসলাম সোহেল, বৈশাখী টিভির প্রতিনিধি সাইফুর রহমান তারেক, সাংবাদিক কাজী মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য পেশার মানুষের ২৫টিরও বেশি মোটর সাইকেল চুরি হয় গত ৬ মাসে। কিন্তু একটিও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। থানায় গেলে শুধু অভিযোগ আর জিডিই করা হয়। কিন্তু মোটর সাইকেল উদ্ধারের কোনো নমুনা দেখা যায় না। ২০১৭ সালে ডিবির এসআই আব্দুল করিমের একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোটর সাইকেল উদ্ধারসহ চোর ধরা হয়। কিন্তু অন্যান্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে ভিন্নচিত্র।