,

রোমাঞ্চে ভরা ‘বাংলার ক্লাসিকোয়’ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব

সময় ডেস্ক : এদেশের ফুটবল অঙ্গনে ‘ঢাকা ডার্বি’ কিংবা ‘বাংলার ক্লাসিকো’ বলে দুটি শব্দ ছিল, পত্রিকার পুরনো পাতায় যার খোঁজ মিলবে। তবে মাঠে ছিল না ওই ক্লাসিকো। ফেডারেশন বা লিগ কর্তৃপক্ষ প্রচারবিমুখ হওয়ায় ফুটবলে আগ্রহ হারিয়েছে দর্শক। ১৪ বছর পর মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দেশের ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাব আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে ক্লাসিকো কিংবা ডার্বির মতোই উত্তাপ ছড়িয়েছে এই ম্যাচ। গ্যালারি ছিল দর্শক ঠাঁসা। রোমাঞ্চে ভরা ওই ম্যাচে টাইব্রেকারে আবাহনীকে ৪-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহামেডান।
ম্যাচে শুরু থেকেই জমজমাট লড়াই দেখা যায়। নির্ধারিত সময়ে দুই দল ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ করে। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচেও দুই দলের গোলের লড়াই দেখা যায়। ১২০ মিনিটে ম্যাচ শেষ হয় ৪-৪ গোলের সমতায়। এরপর টাইব্রেকারে দুই শট ফিরিয়ে শিরোপার নায়ক বনে যান মোহামেডানের গোলরক্ষক। মোহামেডানকে চ্যাম্পিয়ন করতে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন সুলেমান দিয়াবাতে। তিনি একাই করেছেন চার গোল। তবে ম্যাচে প্রথম লিড নেয় আবাহনী। ১৮ মিনিটে মোহামেডানের জালে প্রথম গোল করে দলটি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ২-০ গোলের লিড নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও হাতে নেয় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত কামব্যাক করে মোহামেডান। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে মোহামেডানের নাম্বার টেন দিয়াবাতে দারুণ এক শটে জালে বল পাঠিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। দুই মিনিট পরেই হেড থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান এই মালিয়ান স্ট্রাইকার।
তাতে কোণঠাসা হয়নি আবাহনী। ম্যাচের ৬৬ মিনিটেই আবার লিডে ফেরে ঢাকার ফুটবলে দীর্ঘসময় রাজত্ব করা ক্লাবটি। ওই গোলেই জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল আবাহনী। কিন্তু দিয়াবাতে তা হতে দেননি। ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে নেওয়া কিকে হেড করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। দলকে সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচে রোমাঞ্চ যোগ করেন। পিছিয়ে পড়ে বার বার ম্যাচে ফেরা মোহামেডান অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচে প্রথমবার লিড নেয়। ১০৬ মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে যান তিনি। শট নিলেই গোল এমন পজিশনে থেকেও গোলরক্ষককে কাটিয়ে গোল করতে গিয়ে ফাউলের শিকার হন এই স্ট্রাইকার। পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহামেডান। গোল করতে ভুল করেননি দিয়াবাতে। ম্যাচের ১১৮ মিনিটে ওই গোল শোধ করে আবাহনী ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে যায়।
পেনাল্টি ভাগ্যে প্রথম শটেই গোল করে মোহামেডান। তবে আবাহনী লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। প্রথম তিন শটেই গোল করে শিরোপার পথে এগিয়ে যায় রাজধানীর মতিঝিলের ক্লাব মোহামেডান। দ্বিতীয় শটে গোল করলেও তৃতীয় শট মিস করে আবাহনী। এরপর মোহামেডানের চতুর্থ শট ফিরিয়ে আবাহনীকে আশা দেখান গোলরক্ষক সোহেল। কিন্তু পঞ্চম শটে গোল হতেই মোহামেডানের খেলোয়াড়, স্টাফ, কর্মকর্তা ও ভক্তদের শিরোপা উৎসবে মাতে।


     এই বিভাগের আরো খবর