,

শহরের আনাচে কানাছে গড়ে উঠেছে অবৈধ ভাঙ্গারী দোকান :: আটক ১ :: প্রেসক্লাবের বৈদ্যুতিক তার চুরি :: পুলিশের অভিযানে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : শহরের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে অবৈধ ভাঙ্গারী ব্যবসা। আর এ ব্যবসার আড়ালে চোরাই মাল ক্রয় করে রাতারাতি অনেকে লাখপতি হয়ে গেছে। একমাত্র ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া তাদের আর কোনো কাগজপত্র নেই। খবর নিয়ে জানা গেছে, এসব ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা কোমলমতি শিশুদের চোরাইকাজে ব্যবহার করে দামি জিনিস স্বল্পমূল্যে ক্রয় করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। বিশেষ করে মোটর, টিউবওয়েল, লোহার যন্ত্রাংশ, পানির পাম্প, দামি তার। এ সব তারা ৮ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের দিয়ে করিয়ে থাকে। ধরা পড়লেও তাদেরকে ছেড়ে দিতে হয় বয়সের কারণে।
গত সোমবার হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রায় ৬০ হাজার টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিক তার কেটে চুরি করে নিয়ে যায়। এতে কয়েক ঘন্টা প্রেসক্লাবে বিদ্যুত ছিলো না। এ ছাড়া চীফ জুডিসিয়াল আদালতের মালখানা থেকে চুরি করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন কিশোর চোর আটক হয়ে বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে। এমনিভাবে প্রতিদিনই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের ছত্রছায়ায় চুরিসহ অপরাধ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সদর থানাকে অবগত করলে ওসি গোলাম মর্তুজার নির্দেশে এসআই সনক কান্তি দাশ, রুবেল দাশ, এএসআই ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে পুলিশ বিভিন্ন ভাঙ্গারী দোকানে অভিযান চালিয়ে চোরাই তার উদ্ধার করে। এ ছাড়া রিচি গ্রামের রমজান আলীর পুত্র ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আব্দুল বারিককে চোরাই মালামাল ক্রয় করার জন্য আটক করেন।
শহরের কোর্ট স্টেশন লাখাই রোড, শায়েস্তানগর, রাজনগর, শ্মশানঘাট, উমেদনগর, কালিগাছতলা, নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, পোদ্দার বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী রয়েছে। এদের দোকানে অভিযান চালালে শহরের চোরাইকৃত অনেক মূল্যবান জিনিস উদ্ধার হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ জানান, প্রেসক্লাব থেকে দামি তার চুরি হয়। পুলিশ উদ্ধার করায় সদর ওসিকে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। ওসি জানান, আরও চোরাই মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।


     এই বিভাগের আরো খবর