,

দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করবে আওয়ামী লীগ

সময় ডেস্ক ॥ জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোও দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনকৃত রাজনৈতিক দলগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন প্রার্থীরা। গত ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন এই বিধানটি অনুমোদন দিয়েছে। আগামী সংসদ অধিবেশনে স্থানীয় সরকার সংশোধনী বিল-২০১৫ তোলা হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে বলা হয়েছে সংসদে বিলটি পাশ হলে আগামীতে সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নভেম্বরে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইসি। ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইসির এমন ঘোষণার আগেই এই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন। ইসির ঘোষণার পর এখন পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। আর দলীয় মনোনয়ন সেই সঙ্গে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতারা এখন দলীয় মনোনয়ন পেতে লবিংয়ে নেমেছেন। স্থানীয় এমপি, কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের বাসা বাড়িতে এখন ভীড় করছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। জানা গেছে, ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রতিটি পৌরসভাতেই মেয়র ও কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা গণসংযোগে নেমেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৬ (ঠ) ধারাটি সংশোধন করা হবে। বর্তমানে এই ধারায় বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে কেহ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হইলে দল হইতে সরাসরি বহিস্কার হইবেন এবং যাহারা দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতা করিবেন, তাহারা তদন্ত সাপেক্ষ মূল দল বা সহযোগী সংগঠন হইতে বহিস্কৃত হইবেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় সমর্থন দেয় আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় নেতারা দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। মেয়র পদে একক প্রার্থীকে মাঠে নামাতে জোর চেষ্টা করে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতারা। দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া বা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার কারনে যেহেতু দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান ছিল না তাই এসব নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় পড়তে হত আওয়ামী লীগকে। জানা গেছে, পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডেকে গঠনতন্ত্রের ৪৬(ঠ) ধারার সংশোধনী আনা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর