,

কাগাপাশায় সংখ্যালঘু যুবতী ধর্ষণ ও ৬ মাসের সন্তান হত্যার অভিযোগে মামলা

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং উপজেলা কাগাপাশ ইউনিয়নের নজিরপুর গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবতী ধর্ষণ ও গর্বে থাকা ৬ মাসের সন্তানকে হত্যার অভিযোগে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগ-৪ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে যুবতীর মা আরতী রাণী সরকার বাদি হয়ে একই এলাকার মৃত গেদা উল্লা ছেলে মাহমুদ আলী (৪৫) কে প্রধান করে অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামী করে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানান, গত ২৬ জুন রাতে একটিন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বানিয়াচং থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঐ যুবতীকে মাহমুদ তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ঐ রাতে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ঐ যুবতীকে নিষেধ করে। পরে মেয়েটি তার মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। এরই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে লম্পট মাহমুদ তাকে আবারও বিভিন্নধরণের কু-প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে ঐ কিশোরী গত ১১ অক্টোবর লম্পট মাহমুদকে আসামী করে বানিয়াচং থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে ¯’ানীয় ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় একাধিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এদিকে, মামলাটি তোলে নেওয়ার জন্য ঐ লম্পট ও তার সহযোগিরা ঐ নিরীহ পরিবারের উপর একের পর এক চাপ স”ষ্টি করে। মামলা তোলতে রাজি না হওয়ায় গত শুক্রবার রাতে লম্পট মাহমুদ ও তার সহযোগিরা তাদের বাড়িতে গিয়ে মামলা তোলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এসময় তারা আপত্তি করায় দুর্ব”ত্তরা তাদের উপর হামলা করে। এতে ঐ ধর্ষিতার তল পেটে আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্ত করণ হয়। এসময় তাদের চিৎকারে ¯’ানীয়রা এগিয়ে আসলে দুর্ব”ত্তরা পালিয়ে যায়। এ রাতেই ¯’ানীযরা তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানি মেডিক্যালে রেপার্ড করে। কিš’ হত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় তাৎক্ষণিক তাকে সিলেট নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালেই তার গর্ভে তাকা ৬ মাসের ম”ত সন্তান প্রসব হয়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার আদালতে ঐ যুবতীর মা বাধি হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৪৪৭/৩২৩/৩০৭/৩১৩ ধারায় ৩ দিনের মধ্যে এফ আই আর করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বানিয়াচং থানাকে নিধের্ষ দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর