,

ভূয়া গ্রেফতারী পরোয়ানায় ১২ দিন হাজতবাসের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন নবীগঞ্জের সমসু মিয়া

সংবাদদাতা ॥ ভূয়া গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে গ্রেফতার হয়ে ১২ দিন হাজতবাসের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন নবীগঞ্জের গজনাইপুর ইউপি’র শতক গ্রামের মোঃ সমসু মিয়া নামের ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। চুয়াডাঙ্গার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এম.বি এম মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত আসামীর প্রতি রিলিজ অর্ডার ইস্যু করা হলে গতকাল তাকে হবিগঞ্জ জেল হাজতে থেকে মুক্তি পায়। জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর বুধবার দিবাগত রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি ভূয়া ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ উপজেলার গোপলার বাজার ফাঁড়ির পুলিশ শতক গ্রামের মৃত আঃ কাইয়ুম এর পুত্র মোঃ সামসু মিয়া (৭৫) কে গ্রেফতার করে। জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সমসু মিয়ার গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করে উপনথী প্রস্তুত করতঃ চুয়াডাঙ্গা সি.জি.এ কোর্টে প্রেরণ করেন। চুয়াডাঙ্গা সি.জি.এ কোর্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত সি.আর ৩২২/১৫ নং মামলার বর্ণনা মতে মামলাটি চুয়াডাঙ্গা জীববনগর দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গা থানার কোন সি.আর মামলা নয় এবং বাদী ও আসামীপক্ষ ও ধারা আদৌ সঠিক নয়। এছাড়া মুন্সি আব্দুল মাজিদ নামীয় কোন ম্যাজিস্ট্রেট চুয়াডাঙ্গায় বর্ণিত তারিখে কর্মরত ছিলেন না বা এই নামে কোন ম্যাজিস্ট্রেট চুয়াডাঙ্গা সি.জি.এম আদালতে বা তার অর্ধনস্থ কোন আদালতে বর্তমানে কর্মরত নাই। এটি একটি জালিয়াতি মুলে সৃষ্ট গ্রেফতারী পরোয়ানা মাত্র। এঘটনায় ভূক্তভোগী মোঃ সমসু মিয়া জানান, শতক বাজার কমিটি নিয়ে পাশ্ববর্র্তী কামারগাঁও গ্রামের সাবের আহমেদ চৌধুরীর সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষ সাবের আহমেদ চৌধুরী হয়রানির উদ্দেশ্যে ভূয়া মামলা ও ওয়ারেন্টের মাধ্যমে আমাকে গ্রেফতার করিয়েছে বলে আমার ধারনা। এর আগেও সে আমাদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিলো। আমি মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার। পুলিশ প্রশাসনের নিকট আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে সুবিচার চাই।


     এই বিভাগের আরো খবর