,

দীঘলবাকে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত অর্ধশতাধিক পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত ॥ এলাকায় উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সালিশ বৈঠকে জাহিদুর গ্র“প ও বশির মিয়া গ্র“পের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ২ঘন্টা এলোপাতারি সংঘর্ষে মহিলা ও সাংবাদিক সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। গুরুতর আহত ১২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আবারো দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। জানাযায়, দাউদপুর গ্রামের জাহিদুর রহমান ও বশির মিয়া মধ্যে দীঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় মুরুব্বিগণ এক বিচার পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংশার চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার দাউদপুর গ্রামের এবাদুর রহমানের বাড়ীতে শালিস বৈঠক বসে। বিচারের সিদ্বান্ত মোতাবেক ২/৩ মাস ধরে বন্ধ রাখা পানি নিষ্কাশনের সরকারী কালভার্টের পানি প্রবাহের রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য সিদ্বান্ত হয়। শালিসানগণ মীমাংশার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হঠাৎ কতিপয় লোকের উসকানিমূলক কথা কাটাকাটির জের ধরে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ২ ঘন্টব্যাপী এলোপাতারি সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও ইট পাটকেলের আঘাতে সালিশানগনসহ উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। উভয় পক্ষই তাদের বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ আনে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুর্হুতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আবারো ব্যাপক প্রাণহানির আশংকা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, বশির মিয়া (৬০), কদ্দুস মিয়া (৭০), উজ্জল মিয়া (১৮), আজিদ মিয়া (২৫), শেখ মিয়া (২৫), শিশু মিয়া (২৬), সুলেমান মিয়া, তাহিদ মিয়া, রাহেল মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, এমদাদ আলী, গোলজার মিয়া, সুন্দর মিয়া, ইমাদ মিয়া (২৮), কলেজ ছাত্র সিরাজ মিয়া (২৪), শহিদ মিয়া, আক্কল মিয়া, আরজান মিয়া, মাহমদ মিয়া, মুহিত মিয়া (২৫), ফারুক মিয়া (৪৫), আমরুল মিয়া (১২), ইউসুফ মিয়া (২৭), সুহেল মিয়া (২৮), রায়েল মিয়া, মমিন মিয়া (২২), হান্নান মিয়া (৩৫), স্কুল ছাত্র রাহিম মিয়া (১৬), আজির উদ্দিন (৩০), মুজিব মিয়া (২২), আলাল মিয়া (২৫), আজাদুর রহমান (২০), উজ্জল মিয়া (২৫), জসিম মিয়া (২০), সবুজ মিয়া (২০)। সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর