,

স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করার জের ধরে হবিগঞ্জে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ

আব্দুল হামিদ ॥ হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্থানগরে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে দুই এলাকার সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়ছে। ঘটনার সাথে জড়িত দুই দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গতকাল বুধবার ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহনপুর এলাকার ইদু মিয়ার পুত্র নুরুল হক শায়েস্থানগর জেকে এন্ড হাই স্কুলের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। এ নিয়ে সকালে শায়েস্থানগর ও মোহনপুর এলাকার যুবকদের মাঝে কথা কাটকাটি হয়। এরই জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি যানবাহন ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া শায়েস্থানগর এলাকার সর্দার লাল মিয়ার বাসাসহ বেশ কয়েকটি বাসা ভাংচুর করা হয়। এ সময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সদর থানার ওসি মোঃ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চেষ্ঠা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বাইরে চলে গেলে ৬ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিপে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এসময় ওসি নাজিম উদ্দিন, পুলিশ সদস্য জাকির, আলমগীর, মোজাম্মেল হক, ইয়াসিন, আব্দুল লতিফসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে লাউছ মিয়া (২০) ও সোহেল মিয়া (১৮) নামে দুই দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া শায়েস্থানগর ও মোহনপুরের আহতরা গ্রেফতার এড়াতে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মাকসুদুর রহমান মনির জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় এলাকার লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।


     এই বিভাগের আরো খবর