,

কলেজ ছাত্র অনুজ হত্যাকান্ড- মা, মেয়ে ও পুত্র আটক

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র অনুজ দাশ (২১) হত্যা মামলায় একই গ্রামের মা, ছেলে ও বোনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের সীকারোক্তি ও নিহতের সাথে থাকা মালামাল একং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- ওই গ্রামের নিয়তী রাণী দাশ, মেয়ে শিল্পী রাণী দাশ, ছেলে সুমন দাশ। আটকৃতদের গতকাল হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে একটি ধানের খলা থেকে ওই গ্রামের অখিল দাশের ছেলে সিলেট মদন মোহন কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্র অনুজ দাশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত অনুজের মা সুবিতা রাণী রায় বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত কয়েকজন কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো ওই গ্রামের ইমন দাশ, রিপন দাশ, লিছকন দাশ। ওই মামলার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার রাতে এস আই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার আসামী ইমনের মা নিয়তী রাণী দাশ ও তার বোন শিল্পী রাণী দাশকে থানায় নিয়ে আসে। আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য ও সাক্ষ্য প্রমানে হত্যায় তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদের সীকারোক্তি মোতাবেক বৃহস্পতিবার রাতে মামলার প্রধান আসামী ইমনের ভাই সুমন দাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সুমনের সীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থল জগন্নাথপুর গ্রামের দক্ষিন পাশে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নিহত অনুজের ব্যবহৃত ব্যাগ ও কাপরসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এবং আটককৃত নিয়তী দাশের সীকারোক্তিতে নিহতের সাথে থাকা নগদ ৩হাজার ৩০টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল আটককৃত মা, মেয়ে ও ছেলেকে হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম জানান, অনুজ দাশ হত্যা ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ৩ জনকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আটকৃতদের সীকারোক্তি মোতাবেক নিহত অনুজের ব্যবহৃত ব্যাগ, কাপর ও ৩হাজার ৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, ওই গ্রামের অখিল দাশের ছেলে অনুজ সিলেট মদন মোহন কলেজে লেখা পড়া করতো। ঘটনার কিছু দিন পুর্বে বাড়িতে এসেছিলো। পরীক্ষা দেয়ার জন্য অনুজ ঘটনার আগের দিন সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে রওয়ানা হয়। এর পর থেকে পরিবারের লোকজনের সাথে তার কোন যোগাযোগ ছিল না। পরের দিন ১২ নভেম্বর হঠাৎ স্থানীয় লোকজন কলেজ ছাত্র অনুজ দাশের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।


     এই বিভাগের আরো খবর