,

অপেক্ষার পালাশেষ ॥ আজ ভোটযুদ্ধ কে হাসবে বিজয়ের হাসি? চমক দেখাতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম রানা !

মতিউর রহমান মুন্না ॥ অপেক্ষার পালা শেষ। কনকেনে শীত উপেক্ষা করে আজ বুধবার অনুষ্টিত হচ্ছে নবীগঞ্জ পৌরসভার ৪র্থ বারের নির্বাচন। চার দিকে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। জীবনে প্রথম বারের মত নির্বাচনে ভোট দিবে তারা। বুঝে শোনে যোগ্য প্রাথীকে ভোট দেবার কথাই আসছে তাদের মুখ থেকে। বিশেষ করে এই বছর প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন হওয়ার কারনে ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যতা। পৌর এলাকার সচেতন সকল ভোটারদের একটাই আলোচনা কে হাসবেন বিজয়ের হাসি। এ বছর নবীগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে দুই লন্ডন প্রবাসী প্রার্থীসহ ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এবারের লড়াই হবে ত্রিমুখি। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী ৩ বারের নির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ছাবির আহমদ চৌধুরী (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী লন্ডন প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম রানা (জগ), জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী মাহমুদ চৌধুরী (লাঙ্গল), অপর স্বতন্ত্র পার্থী লন্ডন প্রবাসী মোঃ জোবায়ের আহমদ চৌধুরী (মোবাইল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী একজন সৎ নিষ্টাবান বিনয়ী ও দীর্ঘদিন কলেজ শিক্ষকতায় নিয়োজিত থাকার কারনে রয়েছে ক্লিন ইমেজ। বিগত ৩ টি নির্বাচনে তিনি নিজের ইমেজে বিজয়ী হলেও এ বছর সরাসরি দলীয় প্রতীক থাকার কারনে ও আওয়ামীলীগের মধ্যে কোন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় তিনি রয়েছেন সবচেয়ে সুদৃঢ় অবস্থানে। অপরদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ৩ বারের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী এ বছরই প্রথম মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। স্পষ্ট ভাষী ও বিশিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ছাবির আহমদ চৌধুরীকে বিজয়ী করতে বিএনপি’র সকল নেতাকর্মী ভেদাভেদ ভুলে একসাথে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এবার চমক দেখাতে পারেন এক সময়ের বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম রানা। এবারের নির্বাচনে ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িয়েছেন তিনি। মৎসজীবি সম্প্রদায়ে তার রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। এছাড়া বিগত নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী মরহুম এড. আব্দুস সহীদ গোলাপের পক্ষে বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে কাজ না করায় তিনি সামান্য ভোটের ব্যবধানে অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী’র নিকট পরাজিত হন। এবছর পৌরসভা নির্বাচনে মরহুম এড. আব্দুস সহীদ গোলাপের স্ত্রী সিতারা গোলাপ ভাসুর পুত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম রানা’র পক্ষে মাঠে সরাসরি কাজ করায় ভোটের দিক দিয়ে তিনি অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। তবে পৌরসভা নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা। তাদের ভোটে বিগত নির্বাচনগুলোতে বর্তমান মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী ৩ বার বিজয়ী হয়েছেন। আর এ সম্প্র্রদায়ের প্রায় সকল ভোটই নৌকার পক্ষে যায় বলে এবারও নৌকা মার্কা বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে অভিজ্ঞ মহল ধারনা করছেন। শেষ পর্যন্ত কে হাসবেন বিজয়ের শেষ হাসি এই অপেক্ষায় রয়েছেন পৌরসভার ১৬ হাজার ১ শত ৬৫ ভোটার। রির্টানিং অফিসার জেলা নির্বাচন অফিসার বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন, নবীগঞ্জের ১০টি কেন্দ্রই কমবেশিীঝুকিপূর্ন তবে সবচেয়ে বেশী ঝুকিঁপূর্ন চরগাও, তিমিরপুর ও জয়নগর। তাই এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা রার্থে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ টি করে মোবাইল কোর্ট থাকবে। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও জুটিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সব কেন্দ্র পরির্দশন করবেন। বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীসব কেন্দ্রেই নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া তাৎক্ষনিক ভাবে যেকোন সমস্যা সমাধানে মোবাইল টীম সব সময় মাঠে থাকবে।


     এই বিভাগের আরো খবর