,

বাহুবলে শিক্ষা অফিসের সামনেই শিক্ষকের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিত!!

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনেই শিক্ষকের হাতে শিক্ষক শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টারদিকে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সরকার কর্তৃক শিক্ষকদের বেতন পূনঃনির্ধারণের (ফিকসেশন) প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ইন্টানেটে কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণের নিমিত্তে ভেড়াখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ৪শ টাকা হারে প্রতি শিক্ষক থেকে গ্রহণ করেন। অপরদিকে অলোয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন আখঞ্জির নেতৃত্বে তার সহকারী শিক্ষক মাসুক মিয়া, কালাখারৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন, মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাশেম, সুন্দ্রাটিকি স্কুলের শিক্ষক শাহজাহান মিলে ২শ ৫০ টাকা হারে তথ্যাদি প্রেরণের জন্য অন্যান্য শিক্ষকদের উৎসাহিত করেন। অন্যদিকে বাহুবল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল আলম সকল শিক্ষকদের তথ্যাদি প্রেরণের জন্য প্রতি শিক্ষককে ১২০ টাকা নির্ধারণ করে প্রচারণা চালান। এতে স্বাভাবিকভাবেই শহীদুল আলমের কথায় সায় দেন শিক্ষক সমাজ। অর্থাৎ কম রেটেই সাধারণতঃ মানুষ কাজ করিয়ে থাকে। এমতাবস্থায় শফিকুল ইসলামের ৪শ টাকার গ্র“প ও রুহুল আমিন আখঞ্জির ২শ ৫০ টাকার গ্র“পের কাজ করিয়ে দেয়ার নামে ব্যবসায়িক স্বার্থ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় তারা উভয় গ্র“পই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এসময় শফিকুল গ্র“প কেটে পড়লেও রুহুল আমিনের সহযোগি মাসুক, মোফাজ্জল, কাশেম ও শাহজাহান মিলে অতর্কিতভাবে শহীদুল আলমকে শারীকিভাবে মারপিট শুরু করলে পথচারীরা এগিয়ে তাকে রক্ষা করেন। এ ঘটনার দৃশ্য কয়েক পথচারী ছবি ও ভিডিও ধারণও করেন। যা সাংবাদিকদের হাতেও পৌছেছে। শিক্ষকদের মাঝে এমন কর্মকান্ড দেখে বাহুবলের সুশীল সমাজ হতবাক হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জ্যোতিষ বাবুর সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, ওইসব বিতর্কিত সকল শিক্ষকই স্কুল ফাকি দিয়ে নানা তদবির বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন বাহুবলের সুশীল সমাজ।


     এই বিভাগের আরো খবর