,

তারা আর সরগরম করবে না গ্রামের মেঠোপথ, বিরক্ত করবে না কাউকে

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ পাকা সড়ক থেকে নেমে মাটির রাস্তায় এগিয়ে গেলে নজরে পড়বে কবরস্থান। এখানে চারদিকেই পাহাড়ি বালুময় লাল মাটি। এই কবরস্থানেই আলাদা আলাদা কবরে চারজনকে শুইয়ে দেওয়া হয়েছে চিরনিদ্রায়। এই শিশুরা খেলার জন্য গ্রামের মেঠোপথ সরগরম করবে না, বিরক্ত করবে না কাউকে। পিতা-মাতা স্বজনরা সবাই রয়েছেন। নেই ওরা চারজন। কবর দিতে এসে কেউ তার চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রটিকি গ্রামের তালুকদার পঞ্চায়েতের চার শিশু জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাতো ভাই মনির মিয়া (৭), আরেক চাচাতো ভাই তাজেল মিয়া (১০) ও পাশের বাড়ির ইসমাইল মিয়াকে (১০) শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে বালুচরে পুঁতে রাখা হয়। সুন্দ্রটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভর পিতা ওয়াহিদ মিয়া বলেন, ‘যারা চলে গেছে আর ফিরে আসবে না। তবে যারা এ কাজ করেছে, তাদের ফাঁসি দেখে মরতে চাই।’ এমনটাই দাবি করেছেন প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়ার পিতা আবদাল মিয়া, ফয়জাবাদ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়ার পিতা আব্দুল আজিজ ও নুরানী প্রথম শ্রেণির ছাত্র ইসমাইল মিয়ার পিতা আব্দুল কাদির। তারা সবাই দ্রুত হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেছেন প্রশাসনের কাছে। উল্লেখ্য, ১২ ফেব্র“য়ারি শুক্রবার বাড়ির পাশে খেলা করছিল তালুকদার পঞ্চায়েতের এই শিশুরা। সেখান থেকে তারা নিখোঁজ হয়। শুভর বাবা ওয়াহিদ মিয়া ১৩ ফেব্র“য়ারি বাহুবল মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ১৭ ফেব্র“য়ারি বুধবার সকালে বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের কুমারপাড়ার পাশের কামাইছড়া নদীর ইছাবিলে বালুর নিচে থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর বাঘাল পঞ্চায়েতের নেতৃত্বদানকারী আব্দুল আলী বাঘাল চৌকিদার, তার ছেলে জুয়েল ও রুবেল ছাড়াও বশির, আরজু মিয়াসহ ৬ জন গ্রেফতার হয়। এর মধ্যে আব্দুল আলী বাঘাল চৌকিদার, তার ছেলে জুয়েলের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


     এই বিভাগের আরো খবর