,

সুন্দ্রাটিকির ৪ শিশু হত্যাকাণ্ডে আরো এক আসামীর জবানবন্দি আব্দুল আলীর লেবু বাগানেই হত্যা করা হয় শিশুদের

আব্দুল হামিদ ॥ বাহুবলে ৪ শিশু হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামী শাহেদ আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক কাউছার আলমের আদালতে সে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ৪ শিশুর হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে আদালতকে জানায়, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আবদুল আলীর নেতৃত্বেই ওই চার শিশুকে হত্যা করা হয়। সে জানায়, আবদুল আলীর লেবু বাগানে নিয়েই ওই চার শিশুকে হত্যা করা হয়। এ সময় হত্যাকান্ডে অংশ নেয় মোট ৯ জন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এর আগে শাহেদ ২ দফায় দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে দুপুরে তাকে আদালতে আনা হলে সে এই জবানবন্দি প্রদান করে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় এর আগে হত্যাকান্ডের মূল হোতা আব্দুল আলী বাগালের দুই ছেলে রুবেল, জুয়েলও প্রতিবেশী আরজু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং হত্যার ঘটনা বর্ণনা করেছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিতে পারব এবং হত্যার বিচার শুরু হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্র“য়ারি শুক্রবার বিকেলে মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার পুত্র দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের পুত্র চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের শ্রেণির ইসমাইল হোসেন (১০)। পরে নিখোঁজের ৫ দিন পর সকালে উপজেলার সুন্দ্রাটিকি এলাকা থেকে ১ কিলেমিটার দূরে ইছাবিলে তাদের বালি চাপা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে। পরে আটক রুবেল, জুয়েল, বশির আদালতে স্বীকারউক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার ঘটনা বর্ণনা করে। এছাড়া র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মামলার অপর আসামী বাচ্চু নিহত হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর