,

হবিগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র নির্বাচন সম্পন্ন : কাউন্সিলর দিলীপ দাস প্যানেল মেয়র-১ দিলীপ দাশ, পিয়ারা বেগম-২ ও আলমগীর-৩

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে হবিগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ হলেন ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ দাস। প্যানেল মেয়র ২ ও ৩ এর আসনটি পেলেন যথাক্রমে পিয়ারা বেগম ও মোঃ আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ পৌরসভার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত পূর্ব নিধারিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্যানেল মেয়র ১, ২ ও ৩ মনোনীত করা হয়। সভায় হবিগঞ্জ-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ আব্দুর রউফের উপস্থিতিতে নব-নির্বাচিত ৯ জন কাউন্সিলর ও ৩ জন মহিলা কাউন্সিলরের মতমত গ্রহণ করা হয়। বিস্তারিত আলোচনাক্রমে সকল কাউন্সিলরের সম্মতিতে ৩ নং ওয়ার্ডের ৭ বারের নির্বাচিত পৌর কমিশনার ও কাউন্সিলর দিলীপ দাসকে প্যানেল মেয়র-১ মনোনীত করা হয়। সাথে সাথে প্যানেল মেয়র-২ হিসেবে ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পিয়ারা বেগম এবং প্যানেল মেয়র-৩ হিসেবে ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আলমগীর মনোনীত হন। সভায় এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ আব্দুর রউফ নব-নির্বাচিত প্যানেল মেয়রবৃন্দ ও পৌরপরিষদের দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বে পৌরসভার কর্মকান্ড আরো গতিশীল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের হবিগঞ্জ পৌরএলাকার পানি নিস্কাশন, পরিচ্ছন্নতা, মশকনিধনসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা জোরদার করার কথা বলেন। প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত দিলীপ দাস তার তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এ গুরুদায়িত্ব অর্পনের জন্য হবিগঞ্জ-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ আব্দুর রউফ, নির্বাচিত পৌর পরিষদের সকল সদস্য তথা পৌরসভার সকল নাগরিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সকলের দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করে বলেন তার চেষ্টা থাকবে পৌরবাসীর মন জয় করে পৌরসভার কর্মকান্ডকে এগিয়ে নেয়া। দিলীপ দাস আরো বলেন তিনি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপির সহযোগিতায় হবিগঞ্জ পৌরবাসী উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। দিলীপ দাস ১৯৮৪ সালে প্রথম হবিগঞ্জ পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হন। তিনি পরপর ৭ বার পৌরসভার কমিশনার ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর পূর্বে ছাত্রজীবনে ১৯৭৪ সালে তিনি বৃন্দাবন সরকারী কলেজের ছাত্র সংসদের ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। প্যানেল মেয়র-২ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত পিয়ারা বেগম পর পর ৩ বার হবিগঞ্জ পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং সংরতি মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জি, কে গউছ কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারান্তরীন হওয়ার পর থেকে গত ৩০ ডিসেম্বরের পৌর নির্বাচনের পর পর্যন্ত তিনি হবিগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্যানেল মেয়র-৩ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মোঃ আলমগীর হবিগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি গত ৩০ ডিসেম্বর ৮ নং ওয়ার্ড হতে ২য় বারের মতো পৌর কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এদিকে নতুন প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় নব-নির্বাচিত প্যানেল মেয়রদের অভিনন্দন জানিয়েছে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশন। হবিগঞ্জ পৌরসভার সচিব নূরে আলম সিদ্দিকী, নির্বাহী প্রকৌশলী মধুসুদন দাস, উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কদ্দুস শামীম, হবিগঞ্জ পৌরকর্মচারী সমিতির সভাপতি সিদ্ধার্থ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান দুলনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মনোনীত মেয়রদের অভিনন্দন জানান। গত ১৮ ফেব্র“য়ারী পূর্বতন হবিগঞ্জ পৌরপরিষদের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু ৩০ ডিসেম্ববরের নির্বাচনে নির্বাচিত পৌর মেয়র আলহাজ্ব জি, কে গউছ কারান্তরীন থাকায় নতুন পরিষদের দায়িত্বগ্রহনে জটিলতার সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উপর ব্যবস্থা গ্রহনের দায়িত্বভার অর্পন করলে উল্লেখিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের উপস্থিতিতে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তবলীর মধ্য দিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর