,

নবীগঞ্জে দুই আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে জায়গা দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে দুই আওয়ামীলীগ নেতা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এক নিরীহ ব্যক্তির জায়গা দখলের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে আবুল কাশেম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ ওমরপুর মৌজার ১০শতক জায়গার মালিক ধনাই উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। তার কোন পুত্র সন্তান না থাকায় জায়গার মালিক হন কাশেমের মা। কিন্তু জায়গার উপর কুনজর পড়ে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুল হক চৌধুরী ও তার মেয়ে সুইটি চৌধুরীর। জাল দলিল তৈরী করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগে আবুল কাশেম বাদী হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী ও তার কন্যা সুইটি চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশ তদন্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করলে আদালত থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তুু পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করেনি। তিনি বলেন আমি নিরীহ হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার নানার সম্পত্তি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। পরবর্তীতে, এমদাদুল হক চৌধুরী তার সহযেগী ইউনিয়ন আওয়মীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমদ আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ফরহাদ আহমেদ তার পিতার নাম ইদ্রিস আলী পরিবর্তন করে ধনাই উল্লাহ নাম লিখে সম্পত্তিতে ভাগ বসানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে। ফরহাদ জাল দলিলের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নবীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করে মিথ্যা হিসেবে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ফরহাদ আহমেদ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে মামলাটি দুদকের কাছে প্রেরন করা হয়। দুদক মামলাটি তদন্ত করে কোন সত্যতা না পেয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। এর পর থেকে এমদাদুল হক চৌধুরী, ফরহাদ আহমেদ আমার পিছনে উঠে পড়ে লাগেন। আমার জায়গা দখলের পাশাপাশি আমাকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করছে। তারা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না কেউ ।


     এই বিভাগের আরো খবর