,

সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যার বিচার ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা করব হবিগঞ্জের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী

কাজল সরকার (হবিগঞ্জ প্রতিনিধি) ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ‘উন্নয়নের’ জোয়ারে সারাদেশে বিদ্যুত-গ্যাসের উৎপাদন কমে গিয়েছিলো। সে সময় সারাদেশে একযোগে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সিলেট অঞ্চলেও বিভিন্ন সময়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের উপর বোমা-গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির সময় গ্রেনেড-বোমা হামলার উন্নয়ন হয়েছে। দুর্নীতির উন্নয়ন হয়েছে। মানি ল্যান্ডারিং এর উন্নয়ন হয়েছে। সন্ত্রাসের উন্নয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতারা কীভাবে নিজেদের অবস্থার উন্নয়ন করবেন তা নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন। তাদের নিজেদের উন্নয়ন হয়েছে।’ যারা এতিমদের টাকা মেরে খায় তারা কীভাবে দেশের উন্নয়ন করবে-এ সময় প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার হবিগঞ্জের নিউফিল্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহিরের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ও যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল ফজল এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় তিনি আরও বলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে লাখো শহীদের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। সেই যুদ্ধাপরাধীদের আজ বিচার হচ্ছে, রায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেওয়ার অপরাধে একদিন খালেদা জিয়ারও জনতার আদালতের বিচার হবে। তিনি আরও বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিএনপি-জামায়াত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করে। এ হত্যার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। আশা করি বিচারও আমরা করতে পারব। তারা দেশে গ্রেনেড হামলার রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা বোমা, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিংয়ের উন্নয়ন করেছে। শিক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই দেশে শিক্ষার হার ৯৮ শতাংশ হোক। এজন্য আমরা বিনামূল্যে বই বিতরণ, বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ ও ছাত্রছাত্রীদের ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজে ১৪টি বিষয়ে অনার্স ও ৫টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু করেছি। অবিলম্বে হবিগঞ্জে একটি মেডিকেল কলেজ এবং সরকারি বা বেসরকারি যাই হোক একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা করব। শায়েস্তাগঞ্জকেও উপজেলায় রূপান্তরের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা একটি বাড়ি একটি খামার করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। এখন গ্রামেগঞ্জে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিয়েছি। যাদের পরিবারের লোকজন বিদেশে আছে তারা ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্রে গিয়ে স্বজনদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি কথা বলতে পারে। তথ্যসেবার কার্যক্রম পৌছে দিয়েছি ইউনিয়ন থেকে গ্রাম পর্যন্ত। এখন কাউকে শহরে আসতে হবেনা। গ্রামে বসেই সেবা নিতে পারবে। ৩ লাখ ৮ হাজার ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি দিচ্ছি। কম্পিউটার শিক্ষা দিচ্ছি। সারা বাংলাদেশ ঘুরে ঘুরে আমাদের ছেলেরা তা শিখাচ্ছে। আগামী জানুয়ারীতে ৩২ কোটির উপরে বই আমরা বিতরণ করবো। কোন জামানত ছাড়া ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। প্রবাসীদের জন্য কল্যাণ ব্যাংক করে দিয়েছি। ২০২১ সালের মধ্যে দেশ দায়মুক্ত হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বদরবারে উন্নত দেশে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী গ্যাস ও বিদ্যুৎ সম্পর্কে বলেন, যেসব এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সেসব এলাকার মানুষ কিছু সুবিধা পাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর