,

মা-মনি অফিসে যুবকের গলা কাটার ঘটনা নিয়ে আলোচনার ঝড় : নবীগঞ্জের প্রেমিকা রিমাকে খুঁজছে পুলিশ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ শহরের পিটি আই রোডে অবস্থিত মা-মনি জেলা কার্যালয়ে যুবকের গলা কাটা ঘটনার সাথে জড়িত প্রেমিকা রিমাকে খোজছে পুলিশ। ফারহানা আক্তার রিমা নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা গ্রামের নজরুল ইসলামের কন্যা। এ ঘটনায় শহর জুড়ে দেখা দিয়েছে আলোচনার ঝড়। ঘটনার মূল রহস্য কি এনিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মা-মনি অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী শিমুল দাসের ধারালো এনটি কাটারের আঘাতে গুরুতর আহত একই অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী রাজু আহমেদ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশাপাশি রাজু দাসও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পুলিশের প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে অফিসের কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। একটি পক্ষ ইতিমধ্যে ঘটনাটির মূল রহস্য ধামাচাপা দিতে তৎপরতা চালাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, অফিসের ভিতরে প্রেম করতে বাধা দিতে গিয়েই শিমুল দাসের এনটি কাটারের আঘাতে আহত হন রাজু আহমেদ। অপর একটি সূত্র জানায়, রাজু আহমেদ ও শিমুল দাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পদন্নতি নিয়েও ছিল মন মালিন্যতা। এ বিষয়টি নিয়েও তাদের মধ্যে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে জানান অনেকেই। তবে শহরবাসীর দাবী প্রকৃত ঘটনা কি ? কেন ঘটল এমন চরম ভয়াবহ একটি ঘটনা। কি নিয়ে তাদের মধ্যে সৃষ্ট হয়েছিল বিরোধ। এদিকে, ঘটনার সাথে জড়িত প্রেমিকা রিমা এখন কোথায়? কেন সে পালিয়ে রয়েছে। পুলিশ তাকে ধরতে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছে। অনেকেরই ধারণা প্রেমিকা রিমাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেই বেরিয়ে আসবে ঘটনার মূল রহস্য। উল্লেখ্য, গত বুধবার পিটিআই রোডস্থ মা-মনির অফিসে রাজু আহমেদ নামের ওই কর্মচারীকে শিমুল নামের আরেক কর্মচারী ধারালো এনটি কাটার দিয়ে গলা কেটে ফেলে তার সহযোগি অপর এক যুবক।


     এই বিভাগের আরো খবর