,

আউশকান্দি বাজারে কলসী ভরা স্বর্ণ নিয়ে তোলপাড় : স্বর্ণ নিয়ে জনতা ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা

আলী হাছান লিটন ॥ নবীগঞ্জের আউশকান্দি বাজারে মাটির নিচের কলসী ভরা প্রায় ৫০ ভরি স্বর্র্ণ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ওই স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাজারের জে কে জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে ¯¦র্ণ চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বর্ণকার পিন্টু বণিক (৪৫) কে গ্রেফতার করে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ প্রায় ৫০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার গোপনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করলে জনতা ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ স্বর্ণ ফেরত দিয়ে জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। এ ঘটনায় পুলিশ ও উপস্থিত জনতার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে স্বর্ণ রেখে পুলিশ আসামী নিয়ে চম্পট দেয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর শহরের তৎকালীন সময়ের ¯¦র্ণ ব্যবসায়ী মৃত লাল মোহন বণিক মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাজাকার ও পাকবাহিনীর ভয়ে তার বাড়ীতে মাটির নিচে একটি পিতলের কলসীতে ¯¦র্ণ ভরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরে দেশ স্বাধীনতার লাভ করার পর ওই স্বর্নের মালিক মারা যান। ওই সময়ে তার সন্তানেরা এ সম্পর্কে কোন কিছু জানতো না। সম্প্রতি ¯¦র্ণ ব্যবসায়ী মৃত লাল মোহন বণিক এর নাতি পিন্টু বণিকের ভিটেয় মাটি খনন করে শ্রমিকেরা। হঠাৎ আকষ্মিক ভাবে লুকিয়ে রাখা ওই স্বর্ণের কলসীর সন্ধান পায় শ্রমিকেরা। কিন্তু শ্রমিকেরা দিনের বেলায় কাজ বন্ধ করে রাতের কোন এক সময়ে ওই কলসী মাটির নিচ থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কলসী ভর্তি ওই ¯¦র্ণ কাজের শ্রমিকেরা পিন্টু বণিক কে নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে মৃত লাল মোহন বণিক এর পুত্র মদন মোহন বণিক বাদী হয়ে তার ভাতিজা পিন্টু বণীকসহ আরো ৪ জনের নাম উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাছিতপুর থানার এস আই সজিব কুমার দত্ত নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় আউশকান্দি বাজারের জে কে জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে কর্মচারী পিন্টু বণিককে আটক করে ওই জুয়েলার্সে রক্ষিত আনুমানিক প্রায় ৫০ ভরি ¯¦র্ণ কোন ধরনের চিজার লিষ্ট ছাড়াই স্বর্ণের পেকেট নিয়ে যেতে চাইলে উপস্থিত সাংবাদিক ও জনতা উত্তেজিত হয়ে প্রতিবাদ মূখর হয়ে উঠে। এ সময় এস আই সজিব কুমার দত্ত স্বর্ণের প্যাকেটটি ফেরত দিয়ে উপস্থিত জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে ওই স্বর্ণের প্যাকেটটি জেকে জুয়েলার্সের মালিক বাদল বণিকের জিম্মায় ফেরত দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ব্যাপারে বাজিতপুর থানার এস আই সজিব কুমার দত্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৫শ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় মামলা হলে এই মামলার আসামীকে গ্রেফতার করতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ ব্যাপারে বাজিতপুর থানার ওসি মোবাইল নং (০১৭১৩৩৭৩৪৮৫) বারবার যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর